ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

অনলাইন শিক্ষা : ক্যাম্পাস জীবনের সমাপ্তি? (২য় পর্ব)

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৫০, নভেম্বর ১৩, ২০১২
অনলাইন শিক্ষা : ক্যাম্পাস জীবনের সমাপ্তি? (২য় পর্ব)

ঢাকা: এরপর একটি কনফারেন্সে থ্রুন আনুষ্ঠানিকভাবে তার চালকবিহীন গাড়ি চালানোর কৌশল তুলে ধরেছিলেন। নিজের এ স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য তিনি আলোচনা শুরু করেন সালমান খানের সাথে।



না, ইনি বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান নন। ইনি হলেন ৩৬ বছর বয়সী এবং স্বল্পভাষী সালমান খান, যিনি কি না হেজ ফান্ড বিশ্লেষণের মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষ ব্যবস্থায় বিপ্লবের সূচনা করেন। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটসও যাকে প্রিয় শিক্ষক বলে সম্বোধন করে থাকেন। এছাড়া সালমান বিখ্যাত খান একাডেমিরও কর্ণধার।

প্রায় ১ কোটির মতো শিক্ষার্থী খান একাডেমি থেকে শিক্ষা সেবা নিয়ে থাকে। এছাড়াও এ একাডেমির সংগ্রহে রয়েছে ৩ হাজার ৪০০টি ভিডিও, যার বেশিরভাগই তৈরি করেছেন খান নিজে।

এ প্রসঙ্গে থ্রুন বলেন, সত্যি বলতে কি, খান একাডেমির ব্যাপারে এসব তথ্য জানার পর কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই। একটা ভয়ংকর ব্যাপার হলো, যেখানে সালমান খান প্রায় মিলিয়ন ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন, সেখানে আমি ২০০ জন শিক্ষার্থীর সামনে দাঁড়াই।

এর পরপরই থ্রুন সিদ্ধান্ত নেন, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি যে বিষয় পড়াতেন সেটাকে সমগ্র বিশ্বের কাছে অনলাইনের মাধ্যমে তুলে ধরবেন। প্রতিষ্ঠা করলেন ইউডাসিটি, যাতে করে যে কেউ তার সিএস২২১ বিষয়ের সাথে নিজেদের সংযুক্ত করতে পারে। এর ফলে স্ট্যানফোর্ডের শিক্ষার্থীরা যেভাবে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারে, ঠিকই একইভাবে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও সিএস২২১ বিষয়ের উপর নিজেদের ঝালাই করে নিতে পারবে।

উল্লেখ্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত সিএস২২১ বিষয়টি খুবই গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে আজকাল। সেই সাথে জটিল বিষয়গুলোর মধ্যেও এটি অন্যতম। তবে অবাক করার মতো ব্যাপার হলো, ক্যাম্পাসে যেখানে ২০০ জন শিক্ষার্থী এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ পায়, সেখানে থ্রুনের অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করে।

সংখ্যাগত এই হিসাব-নিকাশে দারুণভাবে চমকে উঠেন থ্রুন। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে পড়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে, এমনকি উত্তর কোরিয়া থেকেও। এ পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী ইউডাসিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন। এছাড়া পরীক্ষায় ভালো করে প্রথম ৪০০ জনের মধ্যে যারা অবস্থান করছেন, পুরোপুরি অনলাইনেরই মাধ্যমে তারা তাদের পাঠ কার্যক্রম শেষ করেছেন। এমনকি তারা সার্টিফিকেটও পেয়েছেন ই-মেইলের মাধ্যমে।

এ সফলতাকে আনন্দময় অনুভূতি হিসেবে আখ্যা দিয়ে থ্রুন বলেন, যদিও দুটোই শিক্ষা সম্পর্কিত ব্যাপার, তবে এখন নিশ্চয়ই আমি সেই ২০০ জন ছাত্রের কাছে ফিরে যেয়ে তাদের পড়িয়ে সেই তৃপ্তি পাবো না, যেটা আমি পেয়েছি ইউডাসিটিতে।

গার্ডিয়ান অবলম্বনে সুমন পাল

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১২
সম্পাদনা : হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।