যেকোনো মৌসুমে নারী ও পুরুষ হালকা রং ও আরামদায়ক পোশাক পরতে পছন্দ করেন। এক সময় টি-শার্ট ছিল কেবল আরামদায়ক সাধারণ পোশাক।
আমাদের চোখের সামনে অনেক ঘটনা আমরা অনেক সময় দেখেও যেন দেখতে পাই না, সেসব নিয়ে সামান্য ধারণা পর্যন্ত আমাদের নেই! আপনি কি জানেন টি-শার্টের অর্থ? ইংরেজি শব্দ ‘শার্ট’র অর্থ হলো জামা। তাহলে ইংরেজি অক্ষর 'টি' কেন বসল?
ফ্যাশন বিশেষজ্ঞের মতে, টি-শার্টের নাম তার আকার থেকে এসেছে। টি-শার্টের কলার নেই, সোজা এবং সাধারণ। তবে এর সামনে বা পেছন থেকে দেখলে ইংরেজি অক্ষর টি এর মতো দেখায়। এই কারণেই টি-শার্ট বলে!
গোলাকার আর খাটো হাতার এই পোশাকের সরল নকশাই সব বয়সীদের জন্য আরামদায়ক ও বহুল ব্যবহৃত পোশাক। একসময় কেবল খেলাধুলার জন্য ব্যবহার করা হতো কারণেই টি-শার্ট, আজ তা দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম প্রিয় পরিধান।
টি-শার্ট নামকরণের আকর্ষণীয় কারণ সম্পর্কে সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সেনারা ট্রেনিংয়ের সময় হালকা এবং আরামদায়ক কাপড় পরতেন। সেগুলোকেই ট্রেনিং শার্ট বলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনিং শার্টের নাম সংক্ষিপ্ত রূপ টি-শার্ট নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
ট্রেনিং শার্টের ডিজাইন ও গঠন হতে পারে পোশাকের ধরনের ওপর নির্ভর করে, যেমন পলো শার্ট বা অ্যাথলেটিক টপ। কিন্তু টি-শার্টের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর গোলাকার গলা, খাটো হাতা এবং কলার বা বোতামের অনুপস্থিতি। মূলত টি-শার্ট শুধু খেলাধুলার জন্য নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনেও আরামদায়ক।
এএটি