ঢাকা : প্রাচীন মমিকৃত দেহাবশেষের হৃদযন্ত্র ও ধমনী স্ক্যান করে চর্বি খুঁজে পাওয়া গেছে! ৪ হাজার বছরের পুরনো ১৩৭টি মমির ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, মমিকৃত এই মানুষদের বেশিরভাগই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক করে মারা গেছেন!
এর কারণ হিসেবে উচ্ছ্বাভিলাসি জীবনধারা, যেমন ধূমপান ও অতিভোজনের মাধ্যমে স্থুলকায় হয়ে পড়াকে দেখছেন গবেষকরা।
বেশ কিছু মমির ওপর গবেষণা করে দেখা যায়, মমিকৃত মানুষরা সমাজের সবচেয়ে উঁচু শ্রেণীর ছিলেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকরা আরও জানান, আদিম মানুষের রোগের ধরন চিহ্নিত করার জন্য মিশর, পেরু, দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকা ও আলাস্কার অ্যালুশিয়ান দ্বীপ এলাকার মমিগুলোর সিটি স্ক্যান করে এই বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গেছে।
গবেষণায় ৪৭-৩৪ শতাংশ মমিতেই অথেরোসক্লারোসিসের (ধমনীর পেশি পুরু হয়ে যাওয়া) চিহ্ন পাওয়া যায়, যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও ভাস্কুলার ডিজিজের (ধমনীর স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া) কারণ।
গবেষকরা আরও জানান, বিশ্বব্যাপি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সভ্যতায় বসবাস করা মানুষের রোগ পর্যবেক্ষণ করে প্রাপ্ত এই গবেষণার ফলাফল সত্যিই বিস্ময়ের।
গবেষণার দলের প্রধান সেন্ট লুক মিড আমেরিকা হার্ট ইনসটিটিউটের অধ্যাপক রেনডল থমপসন বলেন, “বিভিন্ন সভ্যতার মমির ওপর গবেষণা করে আমরা অথেরোসক্লারোসিসের একই মাত্রা দেখতে পাই, জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন থাকলেও প্রাচীন জীবনে অথেরোসক্লারোসিস ছিল প্রায় সবার শরীরেই। ”
গবেষণা দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “ভালো স্বাস্থ্য সচেতন খাবার খেয়ে, ধূমপান বন্ধ করে এবং সবসময় কাজের ওপর থেকে হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখা যায়। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৩
সম্পাদনা: সানজিদা সামরিন ও হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com