ভিডিও গেইম শুধু তরুণদের মধ্যেই জনপ্রিয় না। বুড়োদের মাঝেও জায়গা করে নিয়েছে।
নোলান একাধারে প্রকৌশলী ও উদ্যোক্তা। তবে নোলানের বড় পরিচয়, ভিডিও গেইমে বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি তিনিই প্রথম যুক্ত করেন। শিক্ষা ও খেলার মিল ঘটিয়ে তৈরি করেন ‘ব্রেইনরাশ’ গেইমটি।
গেইমটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পায়। ঠিক এ কাজটির জন্যই নোলান যুক্তরাষ্ট্রকে বদলে দিয়েছে এমন ৫০ ব্যক্তির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।
নোলানের জন্ম ১৯৪৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব উটাহ কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে। আর আগেই অবশ্য বিশ্বের প্রযুক্তি জগতে প্রবেশ করে ভিডিও গেইম।
প্রথম ভিডিও গেইম ‘স্পেস ওয়ার’ প্রোগ্রামার দলটির সঙ্গে কাজ করেন নোলান। ঠিক তখন থেকেই এ বিষয়ে তার আগ্রহ তুঙ্গে পৌঁছায়। পরে গবেষণায় মনোযোগ দেন। স্পেস ওয়ার গেইমটির বিভিন্ন আপডেট ভার্সনও তৈরি করেন নোলান।
গবেষণার কাজ করতে করতেই তার ভেতর পরিবর্তন আসে। তিনি ভাবেন, শুধু শুধু একটা মানুষ গেইম খেলে সময় কেন নষ্ট করবে। বিনোদনের পাশাপাশি তাকে পুরস্কার বা মেধার ব্যবহার যদি করানো যায় তবে বিষয়টি আরও চমৎকার হবে।
ঠিক তখনই সিদ্ধান্ত নেন একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করার। সেখানে তিনি আটারি এবং চাঙ্ক ই চিজ পিজ্জা নামে থিয়েটার দেন। যেখানে গেইম খেলে পুরস্কার জেতা যাবে। এরপর তিনি কাজ শুরু করেন ভিডিও গেইমে মেধার ব্যবহার নিয়ে। এ কাজটি করতে গিয়েই ‘ব্রেইনরাশ’ প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন। সেখান থেকে বাচ্চাদের জন্য শিক্ষামূলক বিভিন্ন গেইম নির্মাণ শুরু করেন।
যার প্রযুক্তিগত দিকটি নোলানের হাত দিয়েই তৈরি হয়। এরপর এটি মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে যাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন নোলান। এক গবেষণায় দেখা গেছে পৃথিবীর ৮৯% তরুণ জীবনের কোনো না কোনো সময় গেইমের প্রতি আসক্ত হয়। বলা হয়, এর জন্য নোলানের উদ্ভাবনই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে।
এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি নিজের নামটি লিখিয়ে ফেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকালের সেরা উদ্ভাবকদের তালিকায়। নোলান বর্তমানে অ্যান্টি এইজিং ডট কম নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ করছেন। যারা ৩৫ বছরের উর্ধ্বের মানুষগুলোর জন্য ভিডিও গেইম নির্মান করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৩
সম্পাদনা: শেরিফ সায়ার, বিভাগীয় সম্পাদক