মুন্সীগঞ্জ: মৃত্যুর কাছে পরাজিত সজল খালেদ জয় করে গেছেন এভারেস্ট চূড়া। এ কথা বললেন সজল খালেদের বন্ধুতুল্য এবিসি রেডিওর সাংবাদিক সৈকত সাদিক।
তিনি জানান, এবার এভারেস্ট যাওয়ার আগে সজল সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মোবাইল ফোন নম্বর চেয়ে বলেছিলেন, “ভাবছি এবার এভারেস্টে যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বদরুদ্দোজা চৌধুরী স্যারকে অতিথি হিসেবে আনবো। ”
সজল খালেদের (ভাল নাম মোহাম্মদ খালেদ হোসাইন) গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের সিংপাড়া হাসারগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মায়ের নাম মৃত সখিনা বেগম। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
এদিকে, তার গ্রামের বাড়ি সিংপাড়া হাসারগাঁও হলেও পরিবারের সবাই অনেক বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করছেন।
এভারেস্ট জয়ের আগে তিনি নিজেকে দেশের একজন তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ৩৫ বছর বয়সী এ যুবক সবার কাছে সজল খালেদ নামে পরিচিত ছিলেন। তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের নাম ‘কাজলের দিনরাত্রি’। এভারেস্ট জয়ী সজল খালেদের স্ত্রীর নাম শৈলী। তাদের সুস্মির নামে এক বছরের ফুটফুটে একটি ছেলে রয়েছে।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে নেমে আসার সময় সোমবার সজল খালেদসহ দুইজন নিহত হন। মঙ্গলবার তার মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে পৌঁছালে আত্মীয়-স্বজনসহ দেশবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপরদিকে, বিকেলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সজল খালেদের গ্রামের অনেকেই তার মৃত্যুর খবর জানেন না। এমনকি শ্রীনগর থানা পুলিশের কাছেও এমন কোনো বার্তা পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন শ্রীনগর থানার পরিদর্শক মো. সিদ্দিক। তবে তার স্বজনরা মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকে কাতর হয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন বলে সজল খালেদের এক ঘনিষ্ঠজন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৩
সম্পাদনা: শিমুল সুলতানা, অ্যাক্টিং কান্ট্রি এডিটর eic@banglanews24.com