ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

‌‌‘দেখে নিও, এভারেস্ট জয় করবো’

আদিত্য আরাফাত, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৪৯, মে ২১, ২০১৩
‌‌‘দেখে নিও, এভারেস্ট জয় করবো’

খিলগাঁও থেকে: এভারেস্ট জয় করেই আসবো এবার- এমনটাই প্রতিজ্ঞা ছিল সজল খালেদের। স্বপ্নের এভারেস্ট জয় করতে পারলেন ঠিকই, দেশের পতাকাও এভারেস্ট চূড়ায় উত্তোলন করলেন, কিন্তু হেরে গেলেন জীবনের কাছে।



সজল খালেদের পর্বতারোহী ক্লাবের নাম এক্সট্রিমিস্ট। সেখানকার সদস্য ও সজল খালেদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দর্পণ জামিল জানান, গতবার অসুস্থতার কারণে কাছাকাছি গিয়েও এভারেস্ট চূড়ায় উঠতে পারেননি। তাই দ্বিতীয়বার জেদ ছিল, যে করেই হোক এভারেস্ট জয় করবেন।

দর্পণ জামিল জানান, সজল ভেবেছিলেন সবাইকে চমকে দেবেন। তাই অভিযানের আগে সংবাদ সম্মেলন করেননি, গণমাধ্যম কর্মীদেরও জানাননি। শুধু ঘনিষ্ঠ কয়েকজন জানতো তার এবারের অভিযানের কথা। জয় করলে সবাই জানবে, এমনটাই ভেবেছিলেন তিনি।

১৭ তারিখ রাতে ফেসবুক চ্যাটে জামিলকে নক করেছিলেন সজল। জামিল দূরে থাকায় কিছুক্ষণ পরে তার জবাব দেন, কিন্তু এরপর আর সজল ফেসবুকে আসনেনি।

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে সজলের শ্বশুর নিজামুদ্দিন খানের বাসায় অবস্থান করছেন দর্পণ জামিলসহ তার বেশিরভাগ আত্মীয়স্বজন। তারা ধারণা করছেন, অনাকাঙ্খিতভাবে ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই হয়তো সজলের মৃত্যু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এভারেস্ট চূড়া থেকে নামার সময় সাউথ ফেসে টানা ২৪ ঘণ্টা ঘুমানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এখানেই সজলের মৃত্যু হয়।

এদিকে, সজলের স্ত্রী তাহমিনা খান শৈলী স্বামীর মৃত্যুর খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে তিনি খিলগাঁওয়ের বাসায় নেই।

সজলের একমাত্র ছেলের নাম সুস্মিত হোসেন (৩)। খিলগাঁওতেই শ্বশুরের পেছনের বাসায় সজল তার পরিবারসহ থাকতেন।

সজল খালেদের (ভাল নাম মোহাম্মদ খালেদ হোসাইন) গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের সিংপাড়া হাসারগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মায়ের নাম মৃত সখিনা বেগম। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

এভারেস্ট জয়ের আগে তিনি নিজেকে দেশের একজন তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ৩৫ বছর বয়সী এ যুবক সবার কাছে সজল খালেদ নামে পরিচিত ছিলেন। তার পরিচালিত  চলচ্চিত্রের নাম ‘কাজলের দিনরাত্রি’।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৩
সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।