ঢাকা: রাত প্রায় আড়াইটা। পুরনো ঢাকার নাজিরাবাজার দেখলেই মনেই হবে না যে পুরো নগরী ঘুমে মগ্ন।
নাজিরাবাজারে হোটেল ও দোকান মিলিয়ে প্রায় ২শ’ দোকান খোলা থাকে প্রতিরাতে। প্রায় হাজার খানেক লোক কাজ করে এসব দোকানে। কারোর সময় নেই দু’দণ্ড কথা বলার।
তবে, এখানে মধ্যরাতের ক্রেতা কারা জানতে চাইলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাংলানউজকে জানান, নাজিরাবাজার এলাকায় বেশ কিছু বায়িং হাউজ ও ব্যাগ কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ চলে সারারাত। কারখানাগুলোর কর্মচারীরাই এখানকার ক্রেতা। পাশাপাশি পাইকারি কাচামালের অনেক গোডাউন রয়েছে।
এসব গোডাউন থেকে মালামাল লোড করা হয় রাতেই। এর জন্য কাজ করেন অনেক শ্রমিক। এ শ্রমিকরাই নাজিরাজারের প্রতিরাতের ক্রেতা বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
কথা হয় গামছা বিক্রেতা কাজী আবুল বাশারের সঙ্গে। নাজিরা বাজারে গামছা বিক্রি করেছেন প্রায় ১৩ বছর ধরে। কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলের লেখাপড়া ও সংসারের সব ব্যয় নির্বাহের জন্য রাত চারটে পর্যন্ত নাজিরা বাজারে গামছা বিক্রি করেন আবুল বাশার।
আবুল বাশার জানান, সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টা থেকে রাত চারটে পর্যন্ত গামছা বিক্রি করেন নাজিরাবাজারে। আয়ও মন্দ না। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই দেড় হাজার টাকার গামছা বিক্রি করেন তিনি।
এভাবেই আবুল বাশারের মতো অনেকেই রাতে নাজিরাবাজারে কাজ করে নিজেদের সংসারের হাল ধরে রেখেছেন। এদের ভরসা কেবলই নাজিরাবাজর ও রাতের আলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৩
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর