ঢাকা: শহরের ব্যস্ত সময়ে সবাই সকালে তাড়াতাড়ি অফিসে যেতে চান। তবে তার আগে সকালের নাস্তা বানাতে হয়।
রুটি বেলতে গিয়ে অনেকটা সময় চলে যায়। সে কারণে গৃহস্থালি কাজে সাহায্য করতে দ্রুত রুটি বানাতে নতুন এক ধরনের উদ্ভাবন করেছেন হুমায়ুন কবীর।
এই যন্ত্র দিয়ে মিনিটে এক সঙ্গে ১০/১৫টি রুটি বানানো যায় এটি দিয়ে। উদ্ভাবক এর নাম দিয়েছেন‘লাইবা রুটি মেকার। ’
পেশার শুরুতে হুমায়ুন কবীর তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতেন। সেই চিন্তা ধারা দিয়েই তিনি একসঙ্গে অনেক রুটি বানানোর যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেন।
মো. হুমায়ুন কবীর ২০১১ সালের শেষ দিকে মাগুরা জেলার বুনাগাতী গ্রামের নিজ বাড়িতে বসে রুটি বানানোর সহজ উপায় উদ্ভাবনের চেষ্টা শুরু করেন।
আর তিন মাসের মাথায় তার রুটি বানানোর কাঠের যন্ত্রটি প্রাথমিক আকার পায়। এর পর শুরু হয় এর আধুনিকায়ন।
স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রুটি বানানোর জন্য এক ধরনের ফুডপেপার (ইংল্যান্ড অথবা জাপান থেকে আমদানি করা) দিয়ে যন্ত্রটি মোড়ানো হয়। এতে খাবার স্বাস্থ্যসম্মত থাকে।
হুমায়ুন কবীর এ রুটি তৈরির কাঠযন্ত্রের বিপণনের জন্য নিজেই উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠানের নাম নেটউইন বিজনেস সল্যুশনস।
সেল বাজার বা বিক্রয় ডটকমে এর বিস্তারিত পাওয়া যাবে। এছাড়া ‘রুটি মেকার’ নামে ফেসবুকে একটি পেইজ খোলা হয়েছে।
এ কাঠযন্ত্রের সাহায্যে সিদ্ধ আটার রুটি, ময়দা লুচি, সিদ্ধ চালের গুড়ার রুটি, সবজি রুটি, দিল্লিকা-রোটি, এগ-পরোটা, কিমা পরোটা, কালিজারা রুটি, মাসকলাই ডালের রুটি, বার্লি রুটি, তাল রুটিসহ বিভিন্ন ধরনের রুটি সহজেই তৈরি করা যায়।
তবে কাঁচা আটার রুটি তৈরি করতে গেলে রুটি পেপারের ওপর এক/দুই ফোঁটা তেল ব্যবহার করতে হয়।
এ যন্ত্রের বিশেষত্ব হচ্ছে, এক মিনিটের মধ্যে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি রুটি তৈরি করা যাবে।
উদ্ভাবক হুমায়ুন কবীর জানান, বাজারে ইন্ডিয়ান ইলেকট্রিক মেশিন আছে। তবে তা ব্যবহারে হাতে বানানো রুটির মতো স্বাদ ও মান থাকে না।
এছাড়া তাতে কিছু ত্রুটি থাকায় সিদ্ধ আটার রুটি হয় না। কিন্তু, ‘লাইবা রুটি মেকার’-এ অনেক পাতলা এবং ছোট-বড়সহ বিভিন্ন আকারের রুটি তৈরি করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৩
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর