জনপ্রিয়তার কাতারে ফেসবুক নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। এ অসাধারণ আইডিয়ার পেছনের মানুষটি মার্ক জুকারবার্গ।
ডাসটিনকে ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতাও বলা হয়। যদিও তিনি এখন ফেসবুকের সঙ্গে নেই। তারপরও ফেসবুকের শুরু দিকে মার্ক জুকারবার্গের একদম কাছের মানুষ ছিলেন ডাসটিন।
তিনি ফেসবুক ছাড়েন ২০০৮ সালে। তখন নিজেই অ্যাসানা নামে নতুন আরেকটি উদ্যোগ হাতে নেন। বলতে গেলে তখন থেকেই পর্দার আড়ালে চলে যান ডাসটিন। সম্প্রতি প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোর্বাসের কল্যাণে আবারও আলোচনায় এসেছেন ডাসটিন।
বিশ্বের কম বয়সী ধনীদের তালিকায় তিনি শীর্ষস্থান দখল করে ফেলেছেন। কিন্তু এটা ফেসবুক শেয়ারের কারণেই। ফেসবুকে ডাসটিনের শেয়ার আছে ৭.৬ ভাগ। এ পরিমাণের শেয়ার নিয়েই তিনি তরুণ কোটিপতিদের তালিকার শীর্ষে চলে এসেছেন।
ডাসটিন ১৯৮৪ সালের ২২ মে ফ্লোরিডায় জন্মগ্রহণ করেন। কলেজের পড়াশোনার পাট চুকিয়ে যোগ দেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই পরিচয় জুকারবার্গের সঙ্গে। তখন মাত্র ফেসবুক নিয়ে জুকারবার্গ কাজ করছে। আইডিয়া মুগ্ধ হয়ে তার সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন ডাসটিন। পড়াশোনা বাদ দিয়ে বিশ্বের চেহারা বদলে দেওয়া ফেসবুকেই যোগ দেন ডাসটিন।
জুকারবার্গের দলে তখন মানুষ সবে ৪ জন। সবার চেষ্টায় তারা হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরির জন্য ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুক চালু করে। ওই বছরই জুনের দিকে এসে সবার জন্য ফেসবুক উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
অন্যদিকে অফিস গোছানোর কথাও চিন্তা শুরু করেন তারা। ডাসটিন হলেন ফেসবুকের প্রথম প্রধান কারিগরি নির্বাহী। পরে প্রকৌশল বিভাগের সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ শুরু করেন।
তবে হুট করেই ২০০৮ সালের অক্টোবরে ডাসটিন ফেসবুক ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। বিষয়টি প্রযুক্তিজগতে তখন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। কারণ জুকারবার্গের একমাত্র কাছের মানুষ ছিলেন ডাসটিন।
এ প্রসঙ্গে জুকারবার্গ বলেন, ডাসটিন ফেসবুকের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। সে আমারও একমাত্র বন্ধু। যার কাছে সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যেত। ফেসবুক ছেড়েই নিজের প্রতিষ্ঠান অ্যাসানা শুরু করেন ডাসটিন। এরপর থেকেই প্রযুক্তিজগৎ থেকে ধীরে ধীরে আলোচনার বাইরে চলে যান এ উদ্ভাবনী মানুষটি। তবে এবার আবারও এসেছেন আলোচনায়। তাও আবার সেই ফেসবুকের কল্যাণেই।
অনুবাদ: শেরিফ সায়ার
বাংলাদেশ সময় ২০৫৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর