ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

প্যাডেল মেরে ভুটান ভ্রমণ!

স্বপ্নযাত্রা রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:১৭, জুলাই ২৭, ২০১৩
প্যাডেল মেরে ভুটান ভ্রমণ!

যানজটের শহর ঢাকায় চলাফেরা করা মুশকিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকাটা এখন অত্যাচারের মতই মনে হয়।

তবে এ সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মেলে যদি কেউ দুই চাকার সাইকেলে চড়ে বেড়ায়।

বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের দৈনন্দিন জীবনের স্টাইলে সাইকেল হয়ে উঠছে অন্যতম। এ দলে ছাত্র, পেশাজীবী সব ধরণের মানুষের উপস্থিতি দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এ সাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বন্ধুত্ব হচ্ছে, ঘুরে বেড়ানোর নেশা তৈরি হচ্ছে। সবাই মিলে দুই চাকার প্যাডেলে চাপ দিয়ে চলে যাচ্ছে দূর-দূরান্তে।

এমনই কোনো এক ভ্রমণে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ৯ তরুণ। বন্ধুদের নয়জনই সাইকেলসহ বাংলাদেশ থেকে যাত্রা করবে ভুটানের উদ্দেশে।

এ বিষয়ে কথা হয় এ দলের অন্যতম সদস্য মশিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগে নিজ উদ্যোগে ভূটান গিয়েছি। সেখানে যারা সাইক্লিং করে তাদের সঙ্গে আড্ডাও হয়েছে। তবে এবার আমরা ভুটান গিয়ে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তুলবো। আমাদের দেশে আমন্ত্রণ জানাবো।

নিজেদের দল সম্পর্কে মশিউর বলেন, আমাদের দলে ৪ জন চাকরি করেন এবং বাকি ৫ জন শিক্ষার্থী। এখানে বয়স বড় বিষয় না। বড় বিষয়টি হচ্ছে ভ্রমণের নেশা। ঘুরে বেড়াবো পৃথিবীর বুকে। মানুষের সঙ্গে মিশে এ বিশ্বকে নতুন করে জানবো। এটাই তো আনন্দ।

মশিউরদের যাত্রা শুরু হবে ৯ আগস্ট বুড়িমারী সীমান্ত এলাকা থেকে। চন্দ্রবান্ধা, রানিরহাট, ধুপগুরি, ফালাকাটা নামক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত কিছু জায়গা অতিক্রম করে তারা পৌঁছাব ‘জয়গা’। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এ স্থান। সেখানে এক রাত কাটিয়ে পর দিন সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ সাইকেল চালানোর পর্ব।

নিজেদের যাত্রা সম্পর্কে মশিউর বলেন, আমাদের গন্তব্য ভুটানের সীমান্তবর্তী এলাকা ফুটশলিং থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্যারো সিটি। যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ফিট উপরে। সেখানে পৌঁছানোর পরে আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভুটানের পর্যটন স্থানগুলো ঘুরে দেখা। পরের গন্তব্যস্থল প্যারো সিটি থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ভুটানের রাজধানী থিম্পু।

রাজধানীর সব দর্শনীয় স্থান দেখে আমরা যাত্রা করব শেষ চেকপয়েন্ট পুনাখার উদ্দেশে। এখানে এক দিন এবং এক রাত থেকে ফিরতি পথে যাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই একই পথ ধরে উল্টো দিকে।

মোট ৬০০ কিলোমিটার পথ সাইকেলে চড়বেন বলে জানান মশিউর। এ লম্বা যাত্রায় অনেক কষ্ট তো আছেই; তবে আসল বিষয়টিই হলো মনের আনন্দ। সাইকেলে চড়ে নিজের মতো করে প্রকৃতির ভেতর প্যাডেল মেরে চলবেন এ ৯ তরুণ। সাইক্লিং বিষয়টিকে আরও জনপ্রিয় করতে এ ভ্রমণ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সবাই। এ লম্বা যাত্রা থেকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফিরে আসবেন ১৬ আগস্ট।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৩
সম্পাদনা: এসএএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।