ঢাকা: বিড়াল-কুকুরের দ্বন্দ্ব আমাদের সবারই প্রত্যক্ষ। কুকুরকে দেখা মাত্র চোখের পলকে সটকে পড়ে বিড়াল।

মানুষের জন্য বিপজ্জনক প্রাণী কুমির চোরের মতো পালিয়ে বেড়াতো। তবে এখন আর বেড়াতে হয় না, কেননা যার ভয়ে লুকোচুরি খেলতে সেই ডাইনোসর তো আর পৃথিবীতে নেই। আজকে পানিতে কুমিরের যে রাজত্ব তা তাদের পূর্বপুরুষদের কল্পনার বাইরে ছিল।
কুমিরের পলায়নবৃত্তি চরিত্রের প্রমাণ পাওয়া গেছে ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায়। ডাইনোসর যুগে কুমিরের অবস্থান কেমন ছিল, বিভিন্ন পরিবেশ তাদের টিকে থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে ওই গবেষণায়। গবেষকরা মধ্যযুগের ১০০ টির বেশি কুমিরের চোয়ালে গবেষণা চালিয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাগৈতিহাসিক কুমিরগুলো বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ছিল। এদের অনেকে ডাইনোসরের গ্রাস থেকে রক্ষা পেতে কুকুরের মতো দ্রত ঘুরে দৌঁড়ে পালাতে পারত। আবার কতগুলো মুক্ত সাগরে বাস করত, যারা তিমিকে অনুসরণ করে চলত।

ধারণা করা হয়, আজ থেকে ২৩ কোটি ১৪ লাখ বছর আগে পৃথিবীতে প্রথম দেখা যায় ডাইনোসর প্রজাতির প্রাণী। আর আজকে থেকে ২০ কোটি ১০ লাখ বছর আগে জুরাসিক সময়ের শুরুতে পৃথিবীতে আধিপত্য বিস্তার শুরু করে যা প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি লাখ বছর স্থায়ী ছিল। মধ্যযুগের দিকে বিলুপ্ত হতে থাকে ডাইনোসর।
গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী টম স্টাবস বলেন, ‘আজকের কুমিরের পূর্বপুরুষদের খুবই বিস্ময়কর ইতিহাস রয়েছে যা তাদের প্রতিপক্ষ ডাইনোসরের তুলনায় খুব কমই জ্ঞাত। ’
তিনি বলেন, ‘আজকে যে কুমিরকে আমরা দেখতে পাচ্ছি অতীতে তা ছিল ভিন্ন প্রকৃতির, অনেক প্রকারের ছিল। আর এ গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ’

তিনি জানান, মধ্যযুগে তাদের বিবর্তন ও শারীরিক ভিন্নতা ছিল ব্যতিক্রমী। তাদের জীবনাচরণ আর খাদ্যাভাস আজকের থেকে ভিন্ন ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৩
এসএফআই/আরকে