ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

দীর্ঘ রাত্রি শেষের অপেক্ষা...

মাজেদুল নয়ন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫:০৬, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৩
দীর্ঘ রাত্রি শেষের অপেক্ষা...

ঢাকা: রাত তখন দুইটা। আমাদের সিএনজি চানখারপুল থেকে শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা করলো।

এর মধ্যেই ঝুম বৃষ্টি। শাহবাগ মোড়ে এসে দেখা যায় সারি সারি রিকশা। রিকশা গদির ওপর দু’পা ভাজ করে শরীরটাকে পুটলির মতো গুটিয়ে রয়েছে রিকশাচালকেরা। এ ভঙ্গিতে অবস্থানকে শোয়া বা বসা বলা যায় না। রিকশার হুট উঠিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে শরীরকে।
 
যে পলিথিন দিনের বেলায় যাত্রীর শরীরকে ভেজার হাত থেকে রক্ষা করে, সেটি এখন চালককে রক্ষা করছে। এক দীর্ঘ রাতের সমাপ্তির আশায় গুটিয়ে থাকেন রিকশাওয়ালারা।
 
কষ্টের রাতগুলো অনেক দীর্ঘ হয়। সূর্য ওঠার অপেক্ষায় দিন গুণতে হয়। বৃষ্টি শেষের অপেক্ষায় রয়েছেন রিকশা চালকেরা। কিন্তু বৃষ্টির বেগ কমে না। আবার কমলেও টিপ টিপ পড়তে থাকে একেবারে শেষ হয় না।
 
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হলে থাকার প্রথম দিকের ‍রাতগুলো ছিল দীর্ঘ। গণরুমে বা পরের অনেকগুলো রুমে যখন থাকি, ছাড়পোকা সে রাতকে করে তুলতো দীর্ঘ। আলো জ্বালিয়ে দীর্ঘ রাত শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতাম। সূর্যের আলো উঠতে থাকলে ছাড়পোকারা আবারো অন্ধকারে ঢুকে যেতো, তখনই চোখ বোজার সময় আসতো।
 
নওগাঁর রিক্সাচালক সোহেল। আটদিন হলো শহরে এসেছেন। সঙ্গে কাপড় বলতে একটি মাত্র শার্ট। সেই শার্ট যেন ভিজে না যায়, তাই রিকশার গদির নিচে রেখে খালি গায়েই পলিথির মুড়ি দিয়ে দীর্ঘ রাত্রি শেষের অপেক্ষা করছেন।
 
বাংলাদেশ সময় ০৫০৫ ঘন্টা; সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৩
এমএন /এসএফআই/আরকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।