ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ধনীদের তালিকায় ঝাং শিন

স্বপ্নযাত্রা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:১৭, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৩
ধনীদের তালিকায় ঝাং শিন

বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের কথা বলতে গেলে রাজনীতিবিদ কিংবা প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কথা উঠে আসে। যেখানে এশিয়ার নারীদের উপস্থিতি খুব একটা নজরে পড়ে না।

অথচ এশিয়ার নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে দুরন্ত গতিতে। বিশেষ করে চীনের নারীদের কথা উল্লেখযোগ্য। নিজেদের মেধা ও শ্রম দিয়ে চীনের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখছে সে দেশের নারীরা। তাদেরই একজন ঝাং শিন।

মিডিয়ায় খুব একটা উপস্থিতি না থাকলেও ঝাং শিন বিশ্বের ধনীদের অন্যতম একজন। চীনের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ঝাং শিন। ‘সোহো চায়না’ নামে নিজের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করছেন শিন। তার সম্পদের পরিমাণ ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে সম্প্রতি সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রেও ভবণ নির্মাণের কাজ পেয়ে গেছেন। যা আবার অ্যাপেল স্টোরের বিশেষ ভবণের কাজ।

সম্প্রতি ক্ষমতাধর নারীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে ঝাং শিনের ১ মিনিটের সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারটির চুম্বক অংশ স্বপ্নযাত্রার পাঠকদের জন্য তুলে দেওয়া হলো।

প্রতিদিন আমাকে অসংখ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। অনেক কঠিন পথের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। সারাদিন সমস্যার সমাধান খুঁজতেই সময় পার হয়ে যায়। দিন শেষে ভাবতে হয়, জীবনে এর চেয়ে নতুন আর কিছু নেই। সমস্যা নতুন, সমাধানও নতুন। মনে হয় প্রতিটি মানুষের জীবন হয়ত এমনই।  

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বাসের তালিকায় নিজের যোগ্যতায় কোটিপতি হওয়া ২৪ জন নারীদের মধ্যে ঝাং শিন অন্যতম। প্রভাবশালী এ ম্যাগাজিনের তালিকায় ২০১৩ সালে চীনের পাঁচ জন নারী রয়েছেন। এ সম্পর্কে শিন বলেন, আমাদের প্রজন্মের নারীরা হস্তশিল্প দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। তারা এটিকে ব্যবসা হিসেবে নিতে শিখেছে।
 
এমন সময় চীনে নারীদের জন্য অসংখ্য সুযোগও তৈরি হতে থাকলো। ঠিক তখনই এ সুযোগ সবাই লুফে নিল। তবে মানসিকতার উন্নতির জন্যই এমনটা সম্ভব হয়েছে। আমরা সবাই সমান। কে দরিদ্র কিংবা কে মধ্যবিত্ত এসব বিষয় আমাদের মধ্যে ছিল না। এজন্যই নারীদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে।

পারিবারিক জীবন সম্পর্কে শিন বলেন, সন্তানদের প্রতি আমার নজর সবসময়ই ছিল। তাদের সময় দিই। সবাই একসঙ্গে সকালের নাস্তা করি। এমনকি রাতের খাবারও একসঙ্গে করি। তাদের সঙ্গে গল্প করি। তাদের পড়াই। এমনকি আমার সন্তানদের সঙ্গে খেলাও দেখতে যাই। পৃথিবীতে একজন নারীর সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মা’ হওয়া। আমি গর্ববোধ করি।

এ পৃথিবীটা অনেক বড়। সে বিশাল পৃথিবীতে আমার সন্তানদের নিয়ে যে পৃথিবী তৈরি করেছি সেটি আরও বড়, আরও সুন্দর। সে সুন্দর পৃথিবীতে থাকতেই বেশি ভালো লাগে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৩
সম্পাদনা: এসএএস/জিসিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।