চট্টগ্রাম: তরুণ শিক্ষার্থীদের নিজেকে নিজের ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে গড়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্রিটিশ তরুণ সাবিরুল ইসলাম।
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন,‘আমরা শাহরুখ খানকে ব্র্যান্ড হিসেবে মেনে নিয়ে তাকে অনুকরণ করি।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ মিলনায়তনে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) চিটাগাং কসমোপলিটনের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাবিরুল অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যে তরুণদের এ আহবান জানান।
নিজের প্রবর্তিত বৈশ্বিক ক্যাম্পেইন ‘ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়ন’ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি।
সাবিরুল বলেন,‘অপার সম্ভাবনা নিয়ে আমরা সমাজে জন্ম নিই। এরপর সমাজ ও পরিবারের রীতিনীতির ভয়ে আমরা আমাদের সম্ভাবনাগুলো নষ্ট করে ফেলি। ’
১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডে জন্ম নেয়া এ তরুণ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘ প্রত্যেক ক্ষেত্রে সমাজ পরিবারের লোকজন বলবে, তুমি এ কাজের উপযুক্ত নও। কিন্তু তোমাকে প্রমাণ করে দেখাতে হবে তুমি সঠিক, বাকি সবাই ভুল। নিজেকে মূল্যায়ন করতে হবে সবার আগে। ’
তিনি বলেন,‘‘জন্মের পর থেকেই সমাজ, পরিবার সবাই ‘স্ট্যাটাস’র এর পেছনে আমা দেরকে ছুটতে বাধ্য করে। তারা মনে করে উচ্চ শিক্ষার সনদ পত্র অর্জনের পর চাকরি পাওয়াই সাফল্য। কিন্তু এটা সফলতা না। এতে শুধু সফলতার একটি স্তর পূরণ হয়। ’
তাই তরুণদেরকে নিজের স্বাধীনতা ও ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে তরুণদেরকে ভবিষ্যত স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান সাবিরুল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি প্রফেসর আবু তৈয়ব চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) চিটাগাং কসমোপলিটনের নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, সাধারণ সম্পাদক জসিম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সারা পৃথিবীতে ১০ লাখ মানুষকে উদ্যোক্তা হিসেবে উদ্বুদ্ধ করতে এ পর্যন্ত ২৫টি দেশ ভ্রমণ করেছেন সাবিরুল। তার দুটি বই দ্য ওয়ার্ল্ড এট ইউর ফিট ও টিন স্পিকার। এজন্য তিনি টেন আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পারসন অব দ্য ওয়ার্ল্ড ২০১০’ এবং ‘প্রভাবশালী ১০০ ব্রিটিশ বাংলাদেশি ২০১২’ তালিকায় স্থান পান।
তার তৈরি করা ব্যবসা শেখার খেলা ‘টিন ট্রাপেনার’ যুক্তরাজ্যের সাড়ে ছয়শ’ বিদ্যালয়ে সহশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় খেলতে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২ ৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৩
এমবিএম/টিসি