ঢাকা: প্রতিদিনই রাত বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে চাঁনখারপুলে। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠে এখানকার খাবার হোটেলগুলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা মেডিকেল কলেজের মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে অবস্থিত হওয়ায় প্রায় সারা রাতই জমজমাট থাকে এখানকার হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলো। রাতে মূলত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই এখানে খাবারের জন্য বেশি আসে। স্বল্পমূল্যে ভালো খাবার এবং আড্ডার জন্য তাদের ভিড় বাড়ে। অনেক সময় রাতে দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

আফতাব হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের স্বত্ত্বাধিকারী মো. আফতাব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, চাঁনখারপুলের হোটেলগুলো সকাল ৭টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আশেপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, রাতের শুটিং ইউনিটের সদস্য ও রাতে কর্তব্য পালনরত বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এখানে খেতে আসে।
এমনকি এখানে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরা থেকেও মানুষ রাতে গাড়ি নিয়ে খেতে আসে। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ওইসব এলাকার হোটেল বা রেস্টুরেন্টগুলো রাত ১১টার পর বন্ধ হয়ে যায় তাই তারা রাতে এখানে খেতে আসে। ’
তিনি বলেন, ‘দুপুর ও রাতে দুই বেলা খাবার সময়ই ভিড় হয় তবে মূলত রাতেই এখানকার হোটেলগুলো বেশি জমজমাট থাকে। ছাত্ররা দুপুরে ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে খায় আর রাতে এখানে খেতে আসে। সাধারণত দুপুর ১২টা থেকে ৩টা এবং রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এখানে ভিড় খুব বেশি থাকে। ’
তিনি আরও বলেন,‘এখানে ইলিশ খিচুড়ি, ভুনা খিচুড়ি, চিকেন বিরিয়ানি, কাচ্চি বিরিয়ানি, সাদা ভাত বেশি চলে। এখানে ১’শ থেকে ১’শ ৫০ টাকার মধ্যেই একজন ব্যক্তি খুব ভালোভাবে খেতে পারে। ’

এসব হোটেলের কর্মচারীরা সাধারণত দুই শিফটে কাজ করে বলেও জানান তিনি।
চাঁনখারপুলে রাতে খেতে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ওসমান গনি। তিনি বাংলানিউজকে বলেন,‘যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকি তাই সাধারণত রাত জাগা হয়। আর রাতে খিদে পেলেই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে এখানে খেতে চলে আসি। ’
এখানকার খাবারের মান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখানকার হোটেলগুলোর খাবারের দাম সীমিত এবং মানও ভালো। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৪০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৩
এমএএ/কেএইচকিউ/আরআইএস