ঢাকা, সোমবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

পাহাড়ের ভাঁজে বোনা স্বপ্ন

ফটো: নূর-এ-আলম, ক্যাপশন স্টোরি: মীর সানজিদা আলম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪:৩৮, অক্টোবর ৭, ২০১৩
পাহাড়ের ভাঁজে বোনা স্বপ্ন

মায়ের পিঠে সওয়ার হয়ে আজন্ম বিস্ময় নিয়ে বেড়ে ওঠে পাহাড়ি শিশু। পাহাড়ের ঢালেই গড়িয়ে-বেড়িয়ে কাটে দূরন্ত শিশুবেলা।



bandorban-kids-
জীবন ও জীবিকার টানে মাথায় থুরং (ঝুড়ি)  নিয়ে পাহাড়ি শিশু পা বাড়ায় পাহাড়ি পথে।

bandorban-kids
কাজ আর সংগ্রামে কাটে পাহাড়ি শৈশব। মা-বাবা জুমে গেলে তাই পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্যটিকে দেখার ভার পড়ে তুলনামূলক একটু বড় শিশুটির ওপর।  

bandorban-farmer4
পাহাড়ি নারী যেন সব্যসাচী। একই সঙ্গে ঘর-বাহির সবই সামলায় সমান তালে। চাষ-বাসেও পিছিয়ে নেই তারা। পাহাড়ের ঢালে কিংবা বাড়ির আনাচে কানাচে লাগানো গাছে যখন থোকায় থোকায় ফলে ফলে ভরে ওঠে তখনকার আনন্দটাই যেন অন্যরকম। আর বছর শেষে যখন কষ্টের ফলন ঘরে তোলে, তখন পরিবারের সবাই মিলে অংশ নেন তাতে। ফল তোলাটা তখন পরিণত হয় উৎসবে। এত পরিশ্রমেও তাই যেন ক্লান্তি নেই পাহাড়ি নারীর চোখ-মুখে। বরং মুখাবয়ব জুড়ে ফুটে ওঠে অদ্ভূত সুন্দর দীপ্তিময় স্বপ্ন।

bandorban-farmer
জুম নির্ভর অর্থনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অনেক পাহাড়ি। অনেকেই জীবিকা নির্বাহের অন্যতম উপায় হিসেবে এখন বেছে নিচ্ছেন পাহাড়ের খাঁজে ফলের চাষকেই। জুম নির্ভর পাহাড়িদের কেবলই ছুটে বেড়াতে হয় এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। কেননা একবার ফসল কাটার পর সে পাহাড়ে আর বছর পাঁচেক জুম চাষ করা যায় না। একই আবর্তে জীবন নির্বাহ করা যাযাবর পাহাড়িরা যেন থিতু হতে চায়। শিক্ষায়-দীক্ষায় এগিয়ে নিতে চায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।

বছর শেষে যখন পাহাড়ি ফলে যখন ভরে যায় পাহাড়ির ঝুড়ি, পাহাড়ের গায়ে বোনা পেঁপে কিংবা বাতাবি নিয়ে যখন ঘরে ফেরে পাহাড়ি কৃষক, তখন যেন তার আনন্দের সীমা থাকে না। ফল বোঝাই ঝুড়ি নিয়ে সোজা চলে যান পার্শ্ববর্তী বাজারে। ফল বেচা টাকা দিয়েই হয়ত চালাতে হবে বছরের বেশ কয়েকটা মাস।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৩
এসএটি/জেডএম/জিসিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।