চারশো বছর আগের কথা। এক তপস্বী মানবকল্যাণে কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চলে আসেন তপস্যা করতে।

অপদেবতা বন্দি হলো বিশাল বিশাল হিজল আর কড়স গাছে। তারপর সেই গাছের নিচে বসে তপস্বী সৃষ্টিকর্তার
উদ্দেশ্যে তপস্যা করতে লাগলেন মানবকল্যাণে। এটা প্রচলিত আছে মিথ বা পূরাণ হিসেবে। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা এটা এখনও বিশ্বাস করেন।

জায়গাটির এখনকার নাম দিল্লির আখড়া। এ নামকরণের পিছনেও রয়েছে একটি মিথ। সে বড় এক গল্প। শুধু এটুকু বলা যায় দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীর এক ব্যক্তির উদার আচরণে খুশি হয়ে প্রায় চারশো একর জমি তাম্রলিপির মাধ্যমে দান করেন। সেই থেকে নাম দিল্লির আখড়া।

এখানের হিজল ও কড়স গাছগুলো দৃষ্টিনন্দনও বটে। দূর থেকে সবুজ মাঠের মধ্যে গাছের সারি যেমন সুন্দর লাগে, তেমন শৈলী রয়েছে গাছের শিকড়েও।

এই বিশাল এলকার নির্জনতায় আপনারও মনে হবে সত্যি এটা তপস্যা করার মতো চমৎকার একটি স্থান বটে।

দীর্ঘ দিন ধরে গাছগুলোর চেহারা আকার প্রায় একইরকম বলে দাবি এলাকাবাসীর। কারও কারও মতে, এখানের প্রতিটি গাছের বয়সই চারশো বছর বা তার বেশি! এই প্রাচীন গাছটির মতো ‘দিল্লির আখড়া’র রয়েছে আরও অনেক প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য, যেগুলো এ অঞ্চলের মানুষ লালন করে আসছে দীর্ঘ দিন।

এখানে রয়েছে একটি মন্দিরও। মন্দিরটি আবার অলৌককিভাবে আবির্ভূত। এই মন্দিরের প্রাচীন পুরোহিতই দিল্লির আখড়ার অপদেবতা গাছে বশীভূতকারী তপস্বী।
এই এলাকা নিয়ে রয়েছে আরও চমকপ্রদ কিছু কাহিনী। সেসব কিছু পড়তে চোখ রাখুন আগামী বৃহস্পতিবার বাংলানিউজের লাইফস্টাইল পাতায়। আমাদের কিশোরগঞ্জ হাওরাঞ্চল করেসপন্ডেন্ট ফরিদ রায়হান জানাবেন এ সম্পর্কে নতুন, চমকপ্রদ সব ঘটনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৩
এএ/জেসিকে