ঢাকা, সোমবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

নলখাগড়ার ভাসমান দ্বীপ!

আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫:২৪, নভেম্বর ১৪, ২০১৩
নলখাগড়ার ভাসমান দ্বীপ!


জলের মাঝে মাটি নেই। অথচ বসবাসের জন্য যা প্রয়োজন তার সবই আছে! ঘরবাড়ি, পশুপাখি, মানুষ।

চলছে রান্নাও। আর এসব কোনো ছবি নয়। সত্য এই গল্পটি লেক টিটিকাকার।


লেক টিটিকাকা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ও রহস্যময় স্থান। বলিভিয়া এবং পেরুর মধ্যবর্তী একটি স্থানে এর অবস্থান। একইসঙ্গে এটা দক্ষিণ আমেরিকার সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, সুন্দর এবং চিত্তাকর্ষক একটি স্থান।


এখানকার অধিকাংশ মানুষ উরোস দ্বীপের অধিবাসী। অধিবাসীদের অধিকাংশ প্রাচীন মানুষদের বংশধর। তারা ভাসমান ঘরে বসবাস করতে ভালোবাসেন। সেটা আবার হ্রদের মাঝে। শত শত বছর ধরেই এটা চলে আসছে। ইনকার রাজা তাদের একসময় এভাবে তাদের বসবাস করতে বাধ্য করে।


 দ্বীপটি এক ধরনের নলখাগড়া জাতীয় ঘাসে কারুকাজ করা, যেটা টোটোরা নামে পরিচিত। এই টোটোরা হ্রদের জলেই জন্মে। উরোস মানুষরা দক্ষতার সঙ্গে এগুলো প্রথমে একসঙ্গে এঁটে বাঁধেন। তারপর সেগুলো কৌশলে ভাসিয়ে রেখে তার উপরই বছরের পর বছর বসবাস করছে।


হ্রদের মাঝে তৈরি এই টোটোরা নির্মিত দ্বীপ যেন নড়তে না পারে সেজন্য একটি স্থানে বিশেষ পদ্ধতিতে আবদ্ধ রাখা হয়। তারপর যখন প্রয়োজন হয় তখন এটি নৌকার মতো ভাসিয়ে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই টোটোরা ঘাস অধিবাসীরা ঘর তৈরি, রান্নাবান্নার কজ, মাছ ধরা, আসবাবপত্র তৈরি এবং নানা ধরনের গহনা তৈরির কাজে ব্যবহার করে।


শিল্প কাকে বলে তা যেন এই দ্বীপের বাসিন্দারা দারুণভাবে আয়ত্ত করেছেন। টোটোরা ঘাসের তৈরি অসাধারণ সব নৌকা, গহনা, তৈজসপত্র সেসবের নিদর্শন।


এখন পর্যটকরা হ্রদের জল দিয়ে অথবা বলিভিয়ার লা পাজ শহরের এবং পেরুর কাসকো অথবা অ্যারিকুইপা দিয়ে এখানে আসেন। বিমানেও আসা যায়। তবে বিমান থেকে নেমে আপনাকে এগুতে হবে আরও ৪০ মিনিটরে রাস্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৩
এএ/জিসিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।