ঢাকা: প্রতিবেদনের প্রথম ছবিটি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসভরে বলবেন, আহা, কী সুন্দর ‘মায়া হরিণ’, যদি সামনে থেকে দেখা যেতো! কেবল প্রতিবেদনের বাকি ছবিগুলোর ওপর চোখ বুলিয়ে যেতে থাকলে হৃদয় আরও জুড়িয়ে যাবে!
কিন্তু যখন ছবিগুলোর দেখার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেদনটিও পড়া হবে তখনই সবাইকে বিস্মিত হতে হবে! এ কী করে সম্ভব!
সত্যিই সম্ভব! রাস্তার ধারে অযথা গাছের বিশাল বিশাল কাঠ খণ্ড পড়ে থাকলেও বন্যপ্রাণী বিষয়ক ভাস্কর্য শিল্পী যুক্তরাষ্ট্রের অহিও রাজ্যের বাসিন্দা রান্ডি বোনি’দের মতো সৃজনশীল মানুষরা এসব মরা কাঠকেই জীবন্ত প্রাণীর প্রতিকৃতিতে রূপ দিতে পারেন।
বোনির ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ও সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবিগুলোর দিকে তাকালে সত্যিই বারবার ‘কী করে সম্ভব’ বলে বিস্ময় প্রকাশ করতে হবে।
বোনি তার ভাস্কর্যের কোনোটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন ‘মায়া হরিণ’র জীবন্ত প্রতিকৃতি, আবার কোনোটিতে গুটিয়ে রেখেছেন বাঁশঝাড় অঞ্চলের প্রাণী পান্ডাকে।
ছবিগুলো স্বাভাবিকভাবে দেখলে মনে হবে কোনো ছোট্ট গুহায় অথবা খালি মাঠে বসে রয়েছে খেঁক শিয়ালের দল কিংবা রাতের ‘ভুত’ পেঁচা।
কিন্তু ছবির ওপর নিচ লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে আসল ব্যাপার। করাত, ছুরি, ড্রিল মেশিন দিয়ে প্রাণীর আকৃতি মতো কাঠ খোদাই করে সেগুলোর ওপর রঙ মাখিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই বিস্ময়কর ভাস্কর্য।
১৯৮৯ সাল থেকে এই ভাস্কর্য শিল্প চর্চা করে আসছেন বোনি। তবে বোনির দেখাদেখি বিশ্বের অনেক দেশে এখন এই শিল্পের প্রসার ঘটছে। বিশেষত অভিজাত ও শৌখিন ব্যক্তিরা এ ধরনের ভাস্কর্য নিজেদের বাড়িতে সাজিয়ে থাকেন।
তবে যে যেভাবেই দেখুক, বোনি কেবল নিজের মনের আকর্ষণ থেকেই এমন সৃজনশীলতায় মনোনিবিষ্ট বলে জানান। অবশ্য, কেউ তার এই শিল্পকর্ম দেখে উৎসাহবোধ করে এর প্রসার ঘটালে তাতে অনেক খুশিই হন বলে জানান বোনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৩
এইচএ/আরকে