ঢাকা: কি নিখুঁত হাত, তুলির আছড়ে কত সুন্দর করেই না এঁকেছেন পেখমওয়ালা মাছ! তুলি দিয়ে কি জীবন্ত এসব মাছ আঁকা যায়! না, যায় না।
পাঠক হয়তো ভেবেছিলেন, কোনো চিত্রশিল্পী তার নিপুন হাতে এঁকেছেন এসব মাছের অঙ্গভঙ্গি।

লাইট-ক্যামের-অ্যাকশনের পারফেক্ট মিলবন্ধনেই তোলা হয়েছে এসব মনোমুগ্ধকর মাছের দৃশ্য।

স্বচ্ছ পানিতে ভেসে বেড়ানো মাছগুলোকে ছবিতে দেখা যায়, যেন খোলা বাতাসে পাখা মেলে উড়ছে। ছবিগুলো তুলেছেন থাই আলোকচিত্রী বিসারুতে আংকাতাবানিচ। বিজ্ঞাপনের ওপর পড়াশোনা করা আংকাতাবানিচ এখন পেশায় পুরোদমে আলোকচিত্রী।

শৈশব থেকেই মাছের ছবি তোলা নেশায় পরিণত হয় আংকাতাবানিচের। মাছে ছবি তোলা তার কাছে প্রেমের মতো।

তিনি বলেন, ‘আলোর বিভিন্ন পথে আমি তাদের চমৎকার ভঙ্গির ছবিগুলো তুলতে ভালোবাসি। ’
মাছের প্রতি সন্তানের কৌতুহলের কারণে ছোট থাকার একদিন তার বাবা তাকে গোল্ডফিশ, গুপি, সিয়ামিজ ফাইটিং ফিশ এনে দেন তাকে।

সিয়ামিজ মাছের নামেই বলে দেয় তাদের আচরণের কথা। খুবই আগ্রাসী প্রজাতির মাছ সিয়ামিজ। কিন্তু নিজের প্রজাতির মধ্যে দুই পুরুষ মাছকে মুখোমুখি হলেই বেঁধে যায় সংঘর্ষ। আর এই সংঘর্ষের ছবি তুলতে খুবই মজা পান আংকাতাবানিচ।

অ্যাকুরিয়ামের ভেতর এক সঙ্গে একাধিক পুরুষ সিয়ামিজ ফাইটিং ফিশকে রাখলে পানিপথের যুদ্ধ শুরু হয়! একে অপরকে ঘায়েল না করা পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের লড়াই।

১২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ায় বংশ বিস্তার করে আসছে সিয়ামিজ ফাইটিং ফিশ।

দীর্ঘদিন ধরে কৃত্রিম পরিবেশে বংশবিস্তারে তাদের আকার-আকৃতিতে এসেছে পরিবর্তন। যেসব সিয়ামিজ মাছ আজ বিক্রি হয়, সেসব কৃত্রিমভাবে জন্মানো।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৩
এসএফআই/আরআইএস