ঢাকা: মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর তাইতো পৃথিবীর অন্যান্য জীবের ওপর আধিপত্য করে মানুষ।

হতে পারে। যার প্রমাণ এ ছবিগুলো। মানুষের গন্ধ পেলে যে প্রাণী নিজেকে আর স্থির রাখতে পারে না সেই সিংহও বশ্যতা বরণ করেছে এই ব্যক্তির।

হুমাইদ আলবু কাইশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিত্তশালীদের মধ্যে অন্যতম। অন্যান্য বিত্তশালীর চেয়ে তার জীবনাচারণ আলাদা, ভোগ-বিলাসেও ভিন্নতা।

তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে যে কেউ প্রবেশ করলে ভড়কে যাবেন। Humaid AlBuQaish ওয়েবসাইটতে প্রবেশ করলে আপনি দেখতে পাবেন, সিংহের সঙ্গে হুমাইদ আলবু কাইশের মিত্রতার অসংখ্য চিত্র।

সিংহের সঙ্গে চুমু খাওয়া, মাস্তি করা, গোসল করা, খাওয়ানোসহ বিভিন্ন চিত্র রয়েছে সাইটটিতে। এতে হাজার হাজার দিরহাম খরচ করে সিংহ কেনা যে শুধু বিত্ত প্রদশর্নের জন্য নয়, নিজেকে সাহসী হিসেবে উপস্থাপনের তারই নমুনাও পাওয়া যাবে।

বিশ্বস্ত সিংহগুলোর মুখে নিজের মাথা বা হাত ঢুকিয়ে দিলেও দাঁতের দাগও বসায় না। তার ওয়েবসাইটে দু’টি সিংহের দেখা পাওয়া গেছে।

বাইরে কোথাও গেলে প্রিয় সিংহ নিয়ে যান তিনি। মনিবের ফটো সেশনের কম্পোজিশন পারফেক্ট করতে গাড়ির ওপর দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে পোজও দেয় সিংহগুলো।

মাঝে মাঝে দুই সিংহের ঝগড়া বাধলে সেটিতে যোগ দেন আলবু কাইশ। মনিবের মধ্যস্থতায় মিটে যায় সিংহগুলোর ঝগড়া। মনিবের মন জয় করার জন্য তার সিংহগুলো আনুগত্যের কমতি দেখায় না।

শুধু সিংহই নয়, আবলু কাইশের বাড়ি যেন চিড়িয়াখানা। ময়ূর, ঘোড়া, চিতাবাঘ, হরিণসহ বিভিন্ন প্রাণীকে পোষ্য বানিয়েছেন তিনি।

নিজের আভিজাত্য প্রদশর্নে আবু কাইশের প্রাণী প্রেমকে অনেকে ভালো চোখে দেখেন না। প্রাণী সংরক্ষণবাদীরা বনের প্রাণীকে বাড়ির খাঁচায় বন্দি রাখার বিপক্ষে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমা ওয়াইল্ড লাইফ পার্কের পরিচালনাকারী জসিম আলী জানান, কেউ ব্যয়বহুল প্রাণী কিনলে সেটা হয় অভিজাত্যের প্রদর্শন। আবার কেউ সিংহের মতো প্রাণী কিনলে সেটা হয় সাহসের প্রদর্শন।
তিনি জানান, আসলে এটি হচ্ছে বন্যপ্রাণীর অপব্যবহার।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৩
এসএফআই/এএসআর/এসআরএস