রামু (কক্সবাজার): আঁকা বাঁকা পাহাড়ি জঙ্গলে ঘেরা সরু পথ, কিন্তু তার ভেতর দিয়েই প্রতিনয়িত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চাঁন্দের গাড়িতে করে যাতায়াত করছে অঞ্চলের হাজারো মানুষ।
কক্সবাজার ও পার্বত্য বান্দরবানের সংযুক্ত রামু-সোনাইছড়ি সড়কে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে চলে চাঁন্দের গাড়ি।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, পুরো ৮ কিলোমিটার সড়কই যেন মরণ ফাঁদ। স্বাধীনতার ৪২ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সোনাইছড়িতে। প্রতিমূহুর্তেই মৃত্যুর ঝুঁকি থাকলেও সোনাইছড়িবাসীর একমাত্র ভরসা ওই চাঁন্দের গাড়ি। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা। সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও রয়েছে নীরব।
স্থানীয় বাসিন্দা সুই থোয়াই চিং মার্মা বাংলানিউজকে জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পর্যটন সম্ভাবনাময়ী ও কৃষি ক্ষেত্রে অত্যন্ত উৎপাদনশীল অঞ্চল। এ অঞ্চলের ১০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রামু-সোনাইছড়ি সড়ক নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, ওই সড়কে অধিক ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে জনসাধারণ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মংয় ইয়ান মারমা জানান, স্বাধীনতার পরে সোনাইছড়ি এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় পর্যটন সম্ভাবনার এ এলাকায় পর্যটকরা আসতে বেশ বেগ পেতে হয়।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ হোসেন বলেন, চাঁন্দের গাড়ির মালিক ও শ্রমিক সমিতির সঙ্গে কথা বলে চাঁন্দের গাড়িতে অধিক যাত্রী বহন না করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৩
এসএইচ/জিসিপি