ভাস্কর্যের কথা মনে হলেই আমরা ভাবি কংক্রিট, পাথর বা কাঠ খোদাই করে নির্মিত চোখ ধাঁধানো সব বস্তুর কথা। কিন্তু ডিমের খোসায় ভাস্কর্য! এটা মানুষের চিন্তায় আসাই কেমন যেন ঠেকে অস্বাভাবিক।
তবে চীনাদের ডিকশনারিতে বোধহয় অসম্ভব শব্দটাই নেই। পৃথিবীর অনেক অসম্ভব ভাবনাকে সহজ করেছে তারা। তেমনই একটি কাজ ডিমের খোসায় অত্যন্ত নিখুঁত, নান্দনিক ভাস্কর্য তৈরি।
ডিমের ভিতর থেকে তরল অংশ প্রথমে বের করে নেওয়া হয়। তারপর পূর্ণ ডিমের সাদা রঙের খোসায় সূক্ষ্ম হাতে করা হয় কারুকাজ।
চীনা ভাস্কর উন ফুলিয়াং পেশায় ছিলেন একজন কাঠ খোদাইকর। কিন্তু ডিমের খোসায় ভাস্কর্য তৈরির অসাধারণ দক্ষতা অর্জনের পর তিনি কাঠ খোদাই ছেড়ে দেন।
উপকরণ হিসেবে মূলত তিনি ব্যবহার করেন মুরগি, রাজহংশী ও হাঁসের ডিমের খোল। অনেক সময় দু’রঙা ডিমের খোসা ব্যবহার করে ডিজাইনে দেন অন্যরকম নান্দনিকতা।
উন ১০ বছর ধরে একাজ করছেন। প্যাগোডাসহ চীনের নানা ঐতিহ্য, পশুপাখি প্রভৃতির ভাস্কর্য তৈরি করেন তিনি।
ডিজাইন করতে প্রথমে ডিমের খোসায় এঁকে নেন। তারপর অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে কলমের মতো একটি দণ্ড, যার মাথায় থাকে ডায়মন্ড তা দিয়ে খোদাই করে কেটে বানান নজরকাড়া সব ভাস্কর্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৩