হেঁটে যাচ্ছেন সমুদ্রের তীর ঘেঁষে। পায়ের নিচে বালু, একপাশে সাগর।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে অবস্থিত হোয়াইট হ্যাভেন বিচ। বিস্তৃতি ৭ কিলোমিটার জুড়ে। ১৮৭৯ সালে বেডওয়েল নামক একজন স্টাফ কমান্ডার এটি আবিষ্কার করেন ও এর নামকরণ করেন।

হোয়াইট হ্যাভেন বিচ মূলত খ্যাতি লাভ করেছে এখানকার সাদা বালুর জন্য। পুরো সৈকত জুড়ে যে বালু রয়েছে তার সবটাই সাদা বালু। এই বালুর ৯৮ শতাংশ খাঁটি সিলিকা দিয়ে গঠিত, আর এই সিলিকা বালুকে অনেক বেশি উজ্জ্বল করেছে। সাদা বালির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি তাপ ধরে রাখে না। সুতরাং এই বালি কখনোই উত্তপ্ত হয় না। তাই প্রচণ্ড গরমেও বালির উপর দিয়ে হেঁটে যেতে কোনো অসুবিধা হয় না। গ্রীষ্মকালেও আরামের সঙ্গে বালির উপরে শুয়ে-বসে থাকা যায়।

এই সমুদ্র সৈকতটি কুইন্সল্যান্ডের সবচেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকতের স্বীকৃতি লাভ করেছে। ধূমপান করা নিষিদ্ধ। শুধু তাই নয়, এখানে কুকুরের চলাফেরা করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১০ সালের জুলাই মাসে হোয়াইট হ্যাভেন বিচ সিএনএনের “ইকো ফ্রেন্ডলি বিচ” এর তালিকায় শীর্ষ স্থান লাভ করে।

এই সৈকতকে পৃথিবীর ভেতরে স্বর্গ বলে আখ্যায়িত করা হয়। হোয়াইট হ্যাভেন বিচের নীল-সাদার খেলা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। পৃথিবীর মধ্যে এক টুকরো স্বর্গই যেন। তাই বেড়াতে যাওয়ার জন্য একে আপনি রাখতেই পারেন পছন্দের স্থানের তালিকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৩