কাঠির মাথায় ভাসছে সাদা, গোলাপি রঙের মেঘ। রঙটা যেন শরতের।

বলছি ছেলেবেলায় সবার প্রিয় মিষ্টি খাবার হাওয়াই মিঠাইর কথা। ছেলেবেলা কেন, সব বয়সী মানুষেরই কমবেশি প্রিয় এটি। মুখে দিলেই মেঘের মতো মিষ্টি দেখতে এই খাবার যেন মিলিয়ে যায় মুহূর্তে।
উৎপাদন খরচও অনেক কম। একটি মেশিন, চিনি, খাবারের রং, বাঁশের কাঠি আর পলিব্যাগ। ব্যবসার পুঁজি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। একটি মিঠাইর উৎপাদন খরচ মাত্র ২-৩ টাকা। ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন ১০-১৫ টাকা।
১৮৯৭ সালে মার্কিন সি ওয়ারটন ও উইলিয়াম মরিসন প্রথম হাওয়াই মিঠাই তৈরির মেশিন আবিষ্কার করেন। কিন্তু খাবারটি ঘরোয়াভাবে প্রথম প্রচলিত হয় ইতালিতে। ১৯০৪ সালের পর এটি ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
তুলার মতো দেখতে হওয়ায় মার্কিনরা এর নাম দেয় কটন ক্যান্ডি। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্টে খাবারটি এতই জনপ্রিয়তা লাভ করে যে প্রতিবছর ৭ ডিসেম্বর দেশটি পালন করে ‘জাতীয় কটন ক্যান্ডি ডে’ হিসেবে।
খাবারের রং মেশানো চিনি মেশিনে দিয়ে ঘোরাতে শুরু করলে মেশিনের ভিতর বাতাসে উড়তে থাকে। তখন একে ধরে পেঁচিয়ে নেওয়া হয় বাঁশের কাঠিতে।
তারপর যখন নির্দিষ্ট পরিমাণ মিঠাই কাঠির মাথায় মেঘ-তুলোর মতো জমা হয়, তখন একে ঢোকানো হয় পলিপ্যাকে। কারণ বাতাস লাগলে এটা চুপসে যায়। খাবেন নাকি মিঠাই...হে হাওয়াই মিঠাই...
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৩