ঢাকা: ঢাকার চারপাশে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন ইটভাটা। অধিকাংশ ভাটাই নির্মিত হচ্ছে ফসলি জমিতে।
এতে একদিকে যেমন কমে যাচ্ছে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ, তেমনি জমি হারাচ্ছে এর উর্বরতা। অন্যদিকে এসব ভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়া পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছে।

ধোঁয়া ও বর্জ্য থেকে রেহাই পাচ্ছে না ফসলি জমিও। ইট ভাটায় নির্বিচারে পোড়ানো হচ্ছে গাছ ও কাঠ। কাঠ পোড়ানোর ফলে চিমনি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।
এসব ভাটা গিলে খাচ্ছে হাজার হাজার বিঘা উর্বর ফসলি জমি। বিশেষ করে ভাটা এলাকায় ভালো ফসল হয় না। এ কারণে প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্যহারে কমছে উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ তেঘরিয়া ইউনিয়নের মোল্লারহাট আলুকান্দা চরের কয়েকজন কৃষক বাংলানিউজকে জানান, ভাটা এলাকায় প্রতিবছর ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলুসহ বেশ কিছু মৌসুমী সবজির চাষ করি।
ফুলকপি ও বাঁধাকপির চারা বড় হয়ে ফসলে পরিণত হওয়ার আগেই ইটভাটার ধোঁয়ায় অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যায়। আলু পরিণত হওয়ার আগে অর্ধেক আলু পচে যায়।

ইটভাটার কালো ধোঁয়া ও দূষিত বর্জ্যের কারণে আশানুরূপ ফসল পাওয়া যায় না। এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ইটভাটা গড়ে ওঠায় কোনো ফসল ভালো হয় না। এর বেশি প্রভাব পড়ে মৌসুমী সবজি চাষে। এতে চাষের খরচও ওঠে না।

জানা গেছে, ঢাকার চারপাশে অনুমোদনহীন কয়েকশ’ ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশ সম্মত চিমনি ও কয়লা ব্যবহারের আইন থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় ভাটার মালিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৩
সম্পাদনা: মীর সানজিদা আলম, নিউজরুম এডিটর