ইংরেজি নববর্ষ নিয়ে বিশ্বব্যাপী আয়োজন-উৎসবের শেষ নেই। পশ্চিমা দেশগুলোতে অনেক আগে থেকেই শুরু হয় নতুন বছর বরণের প্রস্তুতি।

স্পেন:
স্পেনের মানুষও একটু ভিন্নভাবে শুরু করে নতুন বছর বরণের আয়োজন। ৩১ ডিসেম্বর রাত বারোটা বাজার আগেই মাদ্রিদের প্লাজা ডি স্পানাতে জড়ো হয় অসংখ্য মানুষ। তারপর বছরের শেষ ১২ সেকেন্ড, অর্থাৎ বারোটা বাজার আগের শেষ বারো সেকেন্ডে প্রতি সেকেন্ডে একটি করে আঙুর খাওয়া হয়। এভাবেই নতুন বছরকে বরণ করে নেয় স্প্যানিশরা।

এস্তোনিয়া:
এস্তোনিয়ায় ১ জানুয়ারি “সেভেন মিলস” বা সাতটা মিল বা ভোজ খাওয়া হয়। সেখানকার মানুষের মতে কেউ যদি নববর্ষের দিন ৭-১২টি ভোজ খেতে পারে, তাহলে সারা বছর তার খাবারের অভাব হবে না। পাশাপাশি সাতখানা ভোজ খাওয়াকে কারো শরীরে সাতজন মানুষের শক্তির প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়।

ইকুয়েডর:
অতীতকে পুড়িয়ে দিয়ে নতুন বছরে নতুন পথচলা শুরু করে ইকুয়েডরের অধিবাসীরা। তারা আগের বছরের সব ভুল-ভ্রান্তি, দুঃখ-কষ্ট, ব্যর্থতা সহ যা কিছু খারাপ- সব কাগজে লেখে। এরপর কেউ কেউ সেই কাগজ ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়, কেউবা পুড়িয়ে দেয়। তবে নতুন বছরে কাকতাড়ুয়া পুড়িয়ে দুর্ভাগ্য তাড়ানো ইকুয়েডরে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত।

ডেনমার্ক:
সারা বছর পুরনো বাসন নববর্ষের জন্য যত্ন করে জমিয়ে রাখেন ডেনমার্কের অধিবাসীরা। নতুন বছরের প্রথম দিনে পারিবারিক বন্ধুদের বাড়ির সামনের সিঁড়িতে সেসব বাসন ছোড়া হয়। তাদের মতে যার বাড়ির সামনে যত বেশি বাসন পড়ে থাকবে, তার তত বেশি বন্ধু আছে।

বেলারুশ:
বেলারুশে নতুন বছর বরণ করতে যেসব আয়োজন করা হয় তার মধ্যে আছে অবিবাহিত মেয়েদের জন্য এক মজার খেলা। কয়েকজন কুমারী মেয়েকে পাশাপাশি বসিয়ে তাদের সামনে শস্যদানা ভর্তি পাত্র রাখা হয়। সেখানে ছেড়ে দেওয়া হয় একটি মোরগ। সে মোরগ সবার আগে যার সামনে রাখা পাত্র থেকে শস্য খাবে, তার আগে বিয়ে হবে- এমনটাই মনে করা হয়।
এছাড়া বিবাহিত নারীরা তাদের অবিবাহিত বান্ধবীদের জন্য বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন জিনিস লুকিয়ে রাখেন যেগুলো সেই বান্ধবীদের খুঁজে বের করতে হয়। প্রতিটি জিনিসের আবার আলাদা মানে আছে। যদি কেউ আংটি খুঁজে পায়, তার মানে তার সঙ্গে কোনো সুদর্শন পুরুষের বিয়ে হবে। কেউ যদি পায় পাউরুটি, তবে তার সঙ্গে বিয়ে হবে ধনী পুরুষের।

চিলি:
চিলির লোকজন পরিবারের সবার সঙ্গে নতুন বছর উদযাপন করে। এই “সবার” মধ্যে থাকে মৃত ব্যক্তিরাও। নিউইয়ার ইভ বা ৩১ ডিসেম্বর রাতে কবরস্থানে প্রতিটি কবরের পাশে রাখা হয় একটি করে চেয়ার। কবরগুলোতে ফুল দিয়ে প্রিয়জনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাও জানানো হয়।
এভাবেই বিভিন্ন দেশে ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন করা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর