ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

অলি বার বার ফিরে আসে...

ফটো: খাইরুল আলম রাজীব, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট/ক্যাপশন স্টোরি: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:১৫, জানুয়ারি ১৪, ২০১৪
অলি বার বার ফিরে আসে...

মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি... চরণটি সবার জানা। আসলে নেচে বেড়ানোই তাদের কাজ।

তাই না হলে কি আর একদিনে ১৬ কিলোমিটার এলাকা চষে বেড়ানো সম্ভব!


শীতে মধুপ থাকে মধুতে মজে। ফুলে ফুলে ভরে থাকে সারা দেশ। তাই বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় পরিশ্রমী এ পতঙ্গটিকে।


হলুদ সরষে ফুল এসময় তাদের আকর্ষণের প্রাণকেন্দ্র। মাঠের পর মাঠ শিশিরভেজা হলুদরাজ্য থাকে এসময় তাদের দখলে।

গুনগুনিয়ে গান গেয়ে নেচে বেড়িয়ে সংগ্রহ করতে হয় মধু। মেজাজটাও তো ফুরফরে লাগবে। কারণ ৫০০ গ্রাম মধু সংগ্রহ করতে গেলে যে তাদের বসতে হবে ২০ লাখ ফুলে!


পরিশ্রমের প্রতীক মৌমাছি একবার পরিভ্রমণে বের হলে বসে ন্যূনতম ১০০ ফুলে। এ ফুল থেকে ও ফুলে বার বার ছুটে বেড়ায় অলি, বার বার আসে ফিরে।


শীতের টলমল শিশিরভেজা সরষে ক্ষেত এভাবে প্রতিবছর মেতে ওঠে মধুপ। আলস্য কাকে বলে তারা জানে না। বেঁচে থাকার জন্য তো সঞ্চয় চাই, চাই পরিশ্রম। আর ৮০ ফুলের পরাগায়নে সহায়তা করে উপকারী এ পতঙ্গটি ঠিক রেখেছে আমাদের খাদ্য উৎপাদন। তাই শিশিরের বিন্দু বিন্দু জলের মতো কোনো দুঃখ যেন না নামে তাদের জীবনে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।