ঢাকা: মাছে-ভাতে বাঙালি এ প্রবাদ আমরা সবাই জানি। জীবন-যাপন পদ্ধতির পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন হলেও এখন পর্যন্ত ভাতই বাঙালির প্রধান খাবার।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের ডেভন শহরের এক চিড়িয়াখানায় বানরের কলা খেতে মানা!
‘পেইনটন’ নামের এ চিড়িয়াখানার বানরগুলোকে কলার বদলে সবজি ও সবজি জাতীয় কচি ডালপালা খেতে হচ্ছে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, প্রকৃতি থেকে বানর যে কলা খায় তার তুলনায় চিড়িয়াখানার সংগৃহীত কলা বিশুদ্ধ নয়।
তাছাড়া কলার উচ্চমাত্রার ক্যালরি ও সুগার বানরের স্বাস্থ্যের ক্ষতিসহ দাতের ক্ষয় করে।
চিড়িয়াখানাটির মুখপাত্র ফিলিপ নউলিং বলেন, জঙ্গলে জীবন-যাপন অনেক কঠিন হওয়ায় এ ধরনের উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন খাদ্য পশুপাখির খুব ক্ষতি করে না।
কিন্তু চিড়িয়াখানায় আপনি তাদের দেখাশোনা করেন বলে তাদের খুব একটা পরিশ্রম করতে হয় না। তাই এগুলো বানরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
তবে বন-জঙ্গলের কলা (যা সাধারণত অর্গানিক কলার চেয়ে বিশুদ্ধ হয়) সরবরাহকারী না পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলেও জানান ফিলিপ।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের পর বানরের আচরণেও লক্ষণীয় পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু ছোট বানর এখন কম আক্রমণাত্মক। কলার উচ্চমাত্রার সুগার বানরের ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে জানিয়ে চিড়িয়াখানার প্রধান সংরক্ষক অ্যামি প্লাউম্যান বলেন, সুগারসমৃদ্ধ কলা বানরের ডায়াবেটিসসহ পাকস্থলির সমস্যা তৈরি করতে পারে।
চিড়িয়াখানার স্তন্যপায়ী প্রাণী রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মকর্তা ম্যাথু ওয়েব বলেন, ছোট ছোট বানরগুলো সাধারণত দলবদ্ধভাবে বাস করে।
তাই এরা কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়। সুগার কমিয়ে দেওয়ার ফলে তাদের এ প্রবণতা কমে যাচ্ছে।
এমনকি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের পর আগের চেয়ে বানরগুলোর খাদ্য কম পড়ছে এমন কোনো লক্ষণও দেখা যায় নি বলে জানান ওয়েব।
আর এজন্যই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তৈরি খাবার দেওয়ার পরিবর্তে বিক্ষিপ্তভাবে খাদ্যদ্রব্য দিয়ে কিংবা লুকানো স্থান থেকে খাদ্যদ্রব্য খুঁজে বের করার মতো পরিশ্রম করে খেতে বাধ্য করছেন বানরগুলোকে।
এতে করে বানরের উপকার হচ্ছে বলেই ধারণা তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৪
সম্পাদনা: জাকারিয়া খান, নিউজরুম এডিটর/এএ