ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ঘুমিয়ে যাচ্ছে সূর্য, বরফ যুগের পথে পৃথিবী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১২, জানুয়ারি ১৮, ২০১৪
ঘুমিয়ে যাচ্ছে সূর্য, বরফ যুগের পথে পৃথিবী!

সূর্য ক্রমেই ঘুমিয়ে যাচ্ছে! তাহলে আবারও কি একটি সংক্ষিপ্ত বরফ যুগ ফিরে আসছে পৃথিবীতে? এ প্রশ্ন বিজ্ঞানীদের। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সূর্য তার তেজ হারাচ্ছে ফলে পৃথিবীতে তাপমাত্রা কমছে।



গবেষকরা বলছেন ২০১৩ সালেও সূর্যকে যতটা তেজস্বী দেখা গেছে তেমনটা আর দেখা যাবে না। সৌর গবেষকরা আশার কিছু দেখছেন না। তাদের কাছে মনে হচ্ছে পৃথিবী আবারও একটি ছোটখাটো বরফযুগের দিকেই এগুচ্ছে। ঠিক যেমনটি ঘটেছিরো ১৬৪৫ সালে।

২০১৪ গোড়াতে যে সূর্যকে আমরা দেখছি তার তেজ গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম, সেটাও বিজ্ঞানী-গবেষকরা নিশ্চিত করছেন। তারা বলছেন, পরিস্থিতির সঙ্গে ১৬৬৫ সালে শুরু হওয়া ‘মাউন্ডার মিনিমাম’ এর মিল পাওয়া যাচ্ছে। ১৬৪৫ থেকে ১৭১৫ পর্যন্ত সেই সংক্ষিপ্ত বরফ যুগে লন্ডনের টেমস নদী সম্পূর্ণ বরফাবৃত্ত ছিলো।
sun-2220
গবেষকরা মনে করছেন সূর্যের স্থবিরতা থেকে এবারেও বড় ধরনের পরিবর্তন এসে যেতে পারে। তাদের মতে সে সম্ভাবনা অন্তত ২০ ভাগ।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডশায়ারে রাদারফোর্ড অ্যাপলটন ল্যাবরেটরির গবেষক রিচার্ড হ্যারিসন আন্তর্জাতিক একটি মিডিয়াকে বলেছেন, ‘যে ব্যবস্থাই নেওয়া হোক না কেনো সূর্যের তাপ কমছেই। ’  

তিনি বলেন, ৩০ বছর ধরে সূর্যের গতিবিধির ওপর চোখ রাখছি। এবং আমি এমনটি আর কখনোই দেখিনি।

হ্যারিসন বলেন, ঠাণ্ডা থেকে ঠাণ্ডাতর শীত মওসুমের দিকেই এগুচ্ছে বিশ্ব। ঠিক যেমনটি ঘটেছিলো মাউন্ডার মিনিমামের সেই দিনগুলোতে।

তখনকার শীতের ঠাণ্ডা বিশ্বকে একটা ছোট্ট বরফযুগে আটকে রেখেছিলো। টেমস নদী ছিলো বরফাচ্ছন্ন।
ইউসিএল’র লুসি গ্রিন অবশ্য মনে করেন এবারের পরিস্থিতি মানুষের গতিবিধির কারণে আরও কিছুটা ভিন্ন হতে হবে।
Sun-11
তিনি বলেন, আমরা ৪০০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। এবং এখনকার পরিস্থিতি আমরা মাউন্ডার মিনিমামের সঙ্গে দারুণভাবে মিলে যেতে দেখছি।

লুসি আরও বলেন, আজ যে পৃথিবীতে আমরা বাস করছি তা অনেকটাই ভিন্ন। মানুষের কার্যক্রম পরিস্থিতিটিকে পাল্টে দিতে পারে। তবে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে তা বলা খুবই কঠিন।

রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক লকউড বলছেন, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে জেটস্ট্রিমের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। এতে আবহাওয়া ব্যবস্থাই ভেঙ্গে পড়ছে।

ধারনা করছি আগামী ৪০ বছরের মধ্যেই আমরা ফের সেই মাউন্ডার মিনিমামে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। যার সম্ভাবনা ১০ থেকে ২০ ভাগ, বলেন মাইক লকউড।

গেলো বছর নাসা সতর্কবানি দিয়েছিলো সূর্যের কেন্দ্রে ‘অপ্রত্যাশিত’ কিছু একটা ঘটছে। তারাও বলছে, ২০১৩ সালটিই ছিলো সূর্যের সর্বোচ্চ তাপের সময়।

বাংলাদেশ সময় ২০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৪
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।