ঢাকা: ভালোবাসা! গুণে গুণে মাত্র চারটি বর্ণ! কিন্তু এই চারটি বর্ণের গভীরতা, প্রখরতা এবং বিশালতা নির্ণয়ের ক্ষমতা সৃষ্টি জগতের কারও নেই!
এই ভালোবাসা অদম্য! অপ্রতিরোধ্য! ক্ষ্যাপাটে! না বোঝে স্থান-কাল-পাত্র! না বোঝে শ্রেণী-পেশা-দলের ব্যবধান!
এই ভালোবাসার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে আত্মদান করে গেছেন কতো-শতো প্রেমিক-প্রেমিকা, তার ইয়তা নেই! এই ভালোবাসার হাত ধরে রচিত হয়েছে ইউসুফ-জোলেখা, শিরি-ফরহাদ, লাইলি-মজনু, মমতাজ-শাহজাহানের প্রেমকাহিনীর মতো হাজারো বিস্ময়কর আখ্যান!
ভালোবাসার সামনে কখনো স্থান, কখনো কাল, কখনো পাত্র কিংবা কখনো শ্রেণী-পেশা বাধা হয়ে দাঁড়াতে চেয়েছে। কিন্তু ধোপে টেকেনি।

রোববার মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় বহতা পদ্মার তীর ঘেঁষে প্রেমের আরেকটি আখ্যান যোগ করলো দু’টি কুকুর।
দু’টি প্রাণীর ভালোবাসা বিনিময়ের এই আখ্যান ইতিহাসে কেউ লিপিবদ্ধ করবে না এমনটি স্পষ্ট হলেও কোটি আখ্যানের সঙ্গে ‘ভালোবাসার জয় হোক’ বলে স্লোগান দিয়ে যাবে তাদের ভালোবাসার গল্প!
উত্তোলিত বালির পাড়ে কালো-লাল-সাদা রঙা এক কুকুরের সঙ্গে প্রেমের জুটি বাঁধা সাদা-কালোর আংশিক ডোরাকাটা আরেকটি কুকুরের এমন ভালোবাসা বিনিময়ের দৃশ্য দেখে হয়তো ফুলে উঠছিলো চিরযৌবনা পদ্মার বুকও।

নিজেদের ভালোবাসা বিনিময়ের অভাবনীয় দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করার সময় হয়তো ফটোগ্রাফারকে ভালো করেই দেখেছে তারা। কিন্তু থোড়াই কেয়ার! দু’জনের মন যখন একই মোহনায় সাঁতরে বেড়ায় তখন জগতের খবর কে রাখে? ওরাও রাখেনি!
ওরাও হয়তো গেয়ে গেছে ভালোবাসার জয় গান,
‘ভালোবাসা হাজার বছর বাঁচুক,
বাঁচুক যারা ভালোবাসায় বাঁচে!
ভালোবাসা বিস্ময় হয়ে থাকুক,
ছড়িয়ে যাক আনাচে-কানাচে!’
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৪
এইচএ/