ঢাকা: মাত্র ১৭ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলো যুক্তরাষ্ট্রের কিশোর স্যাম বার্নস। আক্রান্ত রোগীর দেহে শৈশবেই বার্ধক্যের ছাপ ফেলা জেনেটিক রোগ ‘প্রোজেরিয়া’য় ভুগছিলো সে।
চিকিৎসকরা জানান, ছেলেটির বয়স ছিলো মাত্র ১৭। কিন্তু তার চেহারায় ছিলো ৫৭’র ছাপ। ইহুদি তরুণটিকে নিয়ে পরিবারেরও ছিলো দুঃশ্চিন্তা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাকে সত্যে পরিণত করেই সম্প্রতি পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে চলে যায় ছেলেটি।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানান, প্রোজেরিয়া এমন একটি রোগ যা মানুষকে দ্রুত বুড়ো বানিয়ে ফেলে। স্যাম বার্নস বিরল এই রোগে ভুগছিলো।
কিশোর সাম বার্নসের প্রোজেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অসময়ে বার্ধক্যের এই রোগে শিশুরা আক্রান্ত হলে অস্বাভাবিকভাবে বুড়িয়ে যেতে থাকে। তাদের দেহে এ সর্বনাশা কাজটা ঘটায় এক প্রকার বৈরী প্রোটিন। তাদের ত্বক শতবর্ষী বুড়ো মানুষের ত্বকের মতো দেখায়।
বলিউডের অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘পা’ মুভিটি যারা দেখেছেন তারা এই বিরল রোগটির সঙ্গে পরিচিত। বিশ্বের প্রতি ৮ মিলিয়ন (৮০ লাখ) শিশুর মাঝে একজন এই রোগে আক্রান্ত হয়।

প্রোজেরিয়া রিসার্চ ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, বিশ্বজুড়ে ২০০ থেকে ২৫০ শিশু এ রোগে ভুগছে। শিশুদের যেকোনো সময় এ রোগ হতে পারে। তবে ১৩ বছর বয়সেই সাধারণত এ রোগ ধরা পড়ে।
সাম বার্নসের বাবা একজন চিকিৎসক। রোগটি নির্ণয ও চিকিৎসার জন্য তিনি ১৯৯৯ সালে প্রোজেরিয়া রিসার্চ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
এক সাক্ষাৎকারে কিশোর বার্নসের বাবা বলেন, যেসব শিশু এ রোগে ভুগছে তাদের সেরে উঠতে অভিভাবকদের শুধু সমস্যা নিয়ে ভাবলে চলবে না, ধৈর্য ধরে চিকিৎসাও চালিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৪