মৌলভীবাজার: ছোট ছোট হাত, ছোট ছোট পা। সারাক্ষণ মার বুকে মুখগুজে থাকা।
শ্রীমঙ্গলের পশুপাখি সেবাশ্রমের পরিচালক সজল দেব জানান, পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ৮টায় এ শাবকটির জন্ম হয়। মা ও শিশু দু’জনেই এখন সুস্থ রয়েছে। ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে বন্দী অবস্থাতে এভাবেই একটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছিল অপর লজ্জাবতী বানর।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রখ্যাত বন্যপ্রাণি গবেষক ড. মনিরুল এইচ খান বলেন, লজ্জাবতী বানরের ইংরেজি নাম Bangal Slow Loris এবং বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis।
মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত এর উচ্চতা ৪০ সে.মি.। লজ্জাবতী বানর নিশাচর প্রাণী। তাই তাকে দিনের বেলায় খুব একটা দেখা যায় না। তবে সে যে ‘বিরল প্রাণী’ এটাও বলা যাবে না। রাতের বেলাতেই এরা বন-জঙ্গলের ডালপালায় ঘুরাফেরা করে।
খায় সবধরণের ফল। গায়ের রং ধুসর। সারাদেহ ঘন লোমে আবৃত।
মনিরুল এইচ খান আরো বলেন, চিড়িয়াখানা বা আটকাবস্থায় রাতের বেলা পর্যটক আসে না বলে তখন লজ্জাবতী বানরের জীবনপ্রাণালী স্বাভাবিক থাকে। বন্দী অবস্থাতেই অনেক প্রাণীর প্রজননে বাঁধা হওয়ার একমাত্র কারণ হলো পর্যটকের আগমন এবং পর্যটক কর্তৃক সৃষ্ট নানা ধরণের যন্ত্রণা। পর্যটকের জন্য তখন এরা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়। বৃহত্তর সিলেট, বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের লজ্জাবতী বানরদের বিচরণ রয়েছে। তবে বৃহত্তম ময়মনসিংহে এরা রয়েছে অল্প সংখ্যায়। তবে সুন্দরবনে নেই একেবারেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৪