ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

জনগণের কাতারে বিএনপির কাজ করা উচিৎ

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২৪, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪
জনগণের কাতারে বিএনপির কাজ করা উচিৎ

ঢাকা:  তৃণমূলের নেতাকর্মীর পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে এককাতারে কাজ করতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একই সঙ্গে দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্যও নেতাদের অনুরোধ করেছেন তারা।



বাংলানিউজের নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এল‍াকা থেকে ফোন করে এসব প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মুঠোফোনে বাংলানিউজের নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়েছেন দেশ-বিদেশের হাজারো পাঠক।

অমিতাভ চৌধুরী নামের এক পাঠক বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ভাব দেখিয়ে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সেভাবে সহযোগিতা করেন না। এছাড়া বিভিন্ন সময় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কাছে বেশির ভাগ সময় ভুল তথ্য উপস্থাপন করেন বকা খাওয়ার ভয়ে। এই প্রবণতা থেকে সরে আসা উচি‍ৎ।

তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির রাজাকারদের সঙ্গ ত্যাগ করলেই বিএনপির কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা শুরু হবে। একই সঙ্গে বিচার বিশ্লেষণ করে তাদের নতুন আন্দোলনে যেতে হবে। এর আগে দল গোছানোই হবে সবচেয়ে বড় কাজ।
 
অমিতাভ চৌধুরী বলেন, বিএনপির যে সমর্থক বাংলাদেশে আছে তাতে তারা খুব সহজেই একা একা আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে। তাদের পক্ষে একাই অনেক কিছু করা সম্ভব। অন্য কোন দলের সাপোর্ট দরকার নেই। শুধুমাত্র নিজেদের গুছিয়ে নেয়াটাই আসল।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন না হলে বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে।

সীমা রাণী দাস নামে আরেক পাঠক বলেন, পারিবারিক রাজনীতি বন্ধ করে ঐক্যবব্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার মোতাহের হোসেন বলেন, সব কিছু বিবেচনা করে বিএনপিকে গত নির্বাচনে যাওয়া উচিৎ ছিল। কেননা দলটি নির্বাচনে এলেই ২৫০ আসন পেতো। বর্তমানে মানুষ এখন অত্যন্ত সচেতন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রামের এক পাঠক বলেন, জামায়াতকে আগে ছেড়ে আলোচনায় আসতে হবে বিএনপিকে।
 
তারেকের প্রত্যাবর্তন জরুরি উল্লেখ করে জয়নুল আবেদীন নামে এক পাঠক বলেন, জোটবদ্ধ ভাবেই বিএনপির আন্দোলন করা উচিৎ। কারণ দলটির অনেক সমর্থন থাকলেও ত্যাগী কোন নেতা নেই।

স্যামসাং বাংলাদেশ’র আরঅ্যান্ডডি সেন্টারের সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মোছা. মাহফুজা আকতার রুবি বলেন, রাজাকারমুক্ত বিএনপি চাই আমরা। একই সঙ্গে স্বার্থবাদী নেতাদের ত্যাগ করে তরুণ ও ত্যাগীদের দলে আনা উচিৎ।

রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীর হাসিব চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক দল হিসেবেই বিএনপির কাজ করা উচিৎ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তারেক যদি বঞ্চিত হন তাহলে তাকে বাদ দেওয়া প্রয়োজন। এতে দলীয় অন্তকোন্দল নিরসন সম্ভব হবে।

মৌলভীবাজারের মো. শাহজাহান বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণেই বিএনপির আজ এই অবস্থা। বালির গাড়ির দিয়ে দেশের বিরোধী দলীয় নেতাকে আটকে রাখা হয়। অথচ রাজধানী ঢাকা শহরের লাখো নেতাকর্মী থাকলেও রাস্তায় নামার কেউ ছিল না।
 
রাজধানীর মহাখালী এলাকার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ভোটের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে নেতা নির্বাচিত করা উচিৎ। এতে সত্যিকার নেতা উঠে আসবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিবগাতুর রহমান মুকুল বলেন, বিএনপি ১০০ ভাগ একটি অসাম্প্রদায়িক একটি রাজনৈতিক দল। বর্তমানে দল গুছিয়ে নিতেই বেশি সময় দেওয়া প্রয়োজন।

মাহবুব নামে এক পাঠক বলেন, খালদা নির্বাচনে না গিয়ে নিজের অবস্থান নষ্ট করেছেন। উনি সরকারের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন। কূটনীতিবিদরা এই ফাদের অংশ।
শরীফ উদ্দীন নামে এক ব্যাংকার বলেন, ছাত্রদল ও যুবদলকে  আদর্শগত দিক থেকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করতে হবে। তাদের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। দলমত নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধুকে প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুর রনি বলেন, তৃণমূলে ভোটাভুটির মাধ্যমে নেতৃত্ব বাছাই করা উচিৎ। জামায়াত ও রাজাকারদের সাথে সম্পর্ক বাদ দিতে হবে।

তবে বিএনপির আদর্শ থেকে কেউ বিচ্যুত হচ্ছেন না বলে মনে করেন মিজানুর রহমান।

মাসুদুর রহমান নামে আরেক পাঠক বলেন, এখনই উচিৎ বিএনপির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।