ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ঋতুরাজ বসন্তের রক্ত আভায় শোভিত শিমুল ফুল

ছবি ও লেখা: উজ্জ্বল ধর, সিনিয়র ফটো করেসপডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫১, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪
ঋতুরাজ বসন্তের রক্ত আভায় শোভিত শিমুল ফুল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের সাথে প্রকৃতিতে লেগেছে তার ছোঁয়া। ন্যাড়া গাছগুলোতে আসতে শুরু করেছে নতুন পাতা।

শিমুল আর পলাশ গাছে ফুটেছে রঙিন ফুল; ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে গ্রামের মেঠো পথকে করে দিচ্ছে রঙিন।


গ্রামবাংলার চিরাচরিত এসব চিত্র একদা দেখা যেত আমাদের এই নগরেও। অট্টালিকার ভিড়ে হারিয়ে গেছে শত প্রজাতির হাজারো ফুল-ফলের বৃক্ষরাজি। এখনো তেমনি হারিয়ে যাওয়া কিছু গাছের দেখা মিলে চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি পাহাড়ে।


বসন্তের পাতাবিহীন ন্যাড়া ডালে আগুনের লেলিহান রক্ত আভায় শোভিত হয়ে দাউ দাউ করে জ্বলছে শিমুল ফুলের সৌন্দর্য।


গীতিকার সাইফুল ইসলামের ভাষায় - হলুদিয়া পাখি সোনারি বরণ, পাখিটি ছাড়িল কে ? কেউ না জানিলো কেউ না দেখিলো কেমনে পাখি দিয়া যে ফাঁকি, উইড়া গেল হায় চোখের পলকে, পাখিটি ছাড়িল কে.. তেমনি ন্যাড়া গাছে রক্ত বর্ণে রঞ্জিত শিমুল ফুল আর এই ডাল থেকে ওই ডালে উড়ে বেড়ানো হলুদিয়া পাখির সৌন্দর্যের অপরূপ চিত্রে হারিয়ে যায় মন প্রকৃতির সান্নিধ্যে।


হলুদিয়া পাখি শিমুল ফুলের মাঝে নিজের লাল ঠোঁটটি দিয়ে সংগ্রহ করে নিচ্ছে মধু।


‘কাঠবিড়ালী! কাঠবিড়ালী! পেয়ারা তুমি খাও?’
চঞ্চল প্রাণী কাঠবিড়ালী সব সময়ই আনন্দে ফুর্তিতে থাকতে ভালোবাসে। এদিক ওদিক ছোটাছুটি লাফিলাফি একদণ্ড জিরিয়ে থাকার সময় নেই তার। যেকোনো গাছের ফলগুলো থেকে তাকে স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। শুধু কি ফল? না ফুলের ভেতর লুকিয়ে থাকা মধুটুকুও চ‍াই তার।


তাইতো সে ন্যাড়া শিমুল গাছের এক ডাল থেকে আরেক ডালে লাফিয়ে ছুটছে। ফুলের মধুর স্বাদটুকু নিয়ে তার ধারালো দাঁত দিয়ে কেটে ফেলে দিচ্ছে লাল পাপড়িগুলো। দুষ্ট কাটবিড়ালী তো কারো বাধা মানে না, শুধু নিস্ফল আক্রোশে মনে পড়ে সেই  ছড়াটির শেষ লাইনটুকু ‘দাঁত দেখিয়ে দিচ্ছ ছুট? অ’মা দেখে যাও!/ কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।