ঢাকা, রবিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

জিরাফ মানবী

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:০১, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪
জিরাফ মানবী

ঢাকা: প্রথম দর্শনে যদি কেউ জিরাফের মূর্তি মনে করে একটু ছুঁয়ে দিতে চায় আপত্তি থাকবে না। কিন্তু কাছে গেলেই বুঝে যাবেন এটি জিরাফ নয়, জিরাফের মূর্তিও নয়।

বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতাসম্পন্ন এই প্রাণীটির চামড়ার আদলে পেইন্ট করা এক নারী। নাম বেথ সাইকেস। যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ফিদারস্টোনের এই কার্টুনিস্টকে নিয়ে এখন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ভার্চুয়াল জগত। জিরাফ মূর্তির ভঙ্গিমায় তার ছবিটিতে হিট পড়ছে লাখ লাখ।

২০ বছরে সাইকেস মাত্র চার বছর বয়সে জিমন্যাস্টিকস শুরু করেন। ১২ বছর বয়সেই তিনি জিতেন শারীরিক কসরতের বড় ধরনের স্বীকৃতি। ৫ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার এই মানবী জিরাফের পোজ দিয়ে মাত করেছেন শিল্পের জগত।

কাজটি তিনি করেছেন শিল্পী বন্ধু এমা ফের জন্য। একটি উৎসবে এমা সাইকেসের গায়ে পেইন্ট করেন আর সেই পেইন্ট নিয়ে জিমন্যাস্ট বন্ধু সাইকেস এমন ভঙ্গিমায় নিজেকে উপস্থাপন করেন যে উৎসবের মানুষগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ে সেই অসাধারণ শিল্প প্রদর্শনীতে। ছবিতে সাইকেসের একপায়ে অঙ্কিত হয় জিরাফের মাথা, অন্য পায়ে খুর। তুলির আঁচরে সাইকেসে একটি হাতও পায় জিরাফের পেছনের পায়ের আদল। গোটা শরীরে আঁকা হয় জিরাফের ছোপ।

নিজেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন সেদিন সাইরেস। বললেন, উৎসবের দিনে বিকেল নাগাদ কাজটি শেষ হয়। আর আমার ঠ্যাং দুটি যথেষ্টই লম্বা, উচিয়ে যখন আকাশের দিকে বাড়িয়ে দিলাম তখন তা জিরাফের লম্বা গলা হিসেবে ধরে নিতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়।

একমাত্র বিপত্তি দেখা দিলো জিরাফের কান নিয়ে। কান দেখাতে ছোট্ট এক টুকরো ফোম ছাড়া অতিরিক্ত কিছুই ব্যবহার করা হয়নি এই প্রদর্শনীতে।  
এমা ফে ছয়টি ঘণ্টা নিয়েছিলেন এই আঁকার কাজ শেষ করতে। প্রতিটি মিনিটেই,  আমি ধীরে ধীরে জিরাফে পরিণত হচ্ছিলাম।

বিষয়টি সেইদিনই শেষ হয়ে যায়নি। জিরাফ মানবী সাইকেসের ছবি তুলে নিয়েছিলেন এক ডাচ জীববিজ্ঞানী। সম্প্রতি তিনি ফেসবুকে এর পোস্ট দিলে তাতে এক লাখের বেশি লাইক পড়ে।  

জিরাফ ছাড়াও নিজেকে গিরগিটি, বাঘ ছাড়াও অন্যান্য বন্য প্রাণীর রূপে নিজেকে উপস্থাপন করেন সাইকেস।

সার্কাস দেখানোও সাইকেসের আরেকটি কাজ। তিনি শারীরিক নানা কসরত দেখানোর পাশাপাশি মুখ থেকে আগুনোর গোলা ছোঁড়া, লাঠির ওপর হাঁটাসহ বিভিন্ন ধরনের সার্কাসে পারদর্শী।  

হলিউড ফিল্মের এলিয়েন চরিত্র অভতার, ফুটবলের লিজেন্ড বেকহ্যাম ছাড়াও বিভিন্ন বিখ্যাত চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করে তাক লাগিয়ে দেন সাইকেস।

তিনি বলেন, শরীরকে দুমড়ে মুচড়ে কোনো একটি বিশেষ আকারে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মোটেই পুরোপুরি প্রাকৃতিক নয়, এর সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ চর্চা ও অনুশীলন।  

সপ্তাহে ছয় দিনই প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকি। স্কুলে যাওয়ার আগে ও পড়ে। আর কাজটি আমি করি ভালোবেসে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।