ঢাকা: ছোট দলের সঙ্গে খেলার আগেই আমাদের চিন্তা-ভাবনা এমন যে, আমরা আগেই জিতে বসে আছি। এ ধরনের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
খেলায় উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু ধারাবাহিকতা নেই। মাঠে সঠিক সিদ্ধান্ত আসছে না। ফলে হারার আগেই হেরে যাচ্ছে টাইগাররা, মন্তব্য সেহজাদ ইসলামের।
শুক্রবার বাংলানিউজের ‘কেমন ক্রিকেট চাই’ শীর্ষক নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া খেলোয়াড়দের চিন্তা চেতনায় বা মানসিকতায় পরিবর্তনের কথাও বলেন তিনি।
বাংলাদেশ দলকে খেলায় জয় পেতে হলে অবশ্যই মানসিক ও শারীরিক দুই দিকেই জোর দিতে হবে। তবে মাঠে খেলোয়ারদের শারীরিক ভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি। তা না হলে বাংলাদেশ দল নিজেদের বড় দল হিসেবে পরিচিত করতে পারবে না।
আমরা স্কটল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মতো দলের কাছে হেরেছি। বড় দল হলে আমাদের বিশ্বকাপে এভাবে ছোট দলগুলোর সঙ্গে খেলতে হতো না।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়সূচি দেখলেই তা সহজেই বোঝা যায়। বাংলাদেশ এখনো খেলাকে ঐ মানে নিয়ে যেতে পারছে না।
আমাদের দল হেরে যাচ্ছে, আর সিনিয়র খেলোয়াড়দের মুখে হাসি। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলার সময় এহেন কাণ্ড দেখা গেছে অসংখ্যবার। যেমন- সাকিব আল হাসান, মুশফিকসহ অনেকেই হেসেছেন। এতে মাঠে অন্য খেলোয়াড়দের মধ্যে মানসিক পরিবর্তন চলে আসে।
দল হেরেছে বলে মেয়েদের মতো কান্নাকাটি করে একাকার, পরের ম্যাচে আবারো হার, এরপর আবার, নো কান্নাকাটি, নো হাসাহাসি, খেলার মাঠেই পরিচয় দিতে হবে আমরাও পারি। ছোট দলগুলো ভালো করছে, আমরা করতে না পারলে পিছিয়ে পড়তে হবে।
বাংলাদেশ অবশ্যই ছোট দল। জিম্বাবুয়ে ছাড়া এর নিচের দলের সঙ্গে খেলা হলে বাংলাদেশের খেলা সরাসরি সম্প্রচার করা হয় না। অথচ জিম্বাবুয়ে সঙ্গে যে কোনো দলের খেলা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বাংলাদেশের খেলা এখনো ঐ মানে পৌঁছতে পারেনি শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কারণে।
এর পরিবর্তন অবশ্যই ঘটাতে হবে। কত ওভারে কত রান, ২৫ ওভার থেকে ৪০ ওভারে এ সময়ে বল হিসেবে রান কমিয়ে আনতে হবে। বরাবরই বাংলাদেশ এ থেকে ব্যর্থ। আর এসময় বাংলাদেশ দল আনন্দ উল্লাসে ফেঁটে পড়ে মাঠে। বোলাররা এ সময় ব্যাটসম্যানদের কাছে বেধড়ক পিটুনি খাচ্ছে। অথবা ৩০ বা ৭০ রানে ৪/৫ উইকেট নেই সেসময়ও সিনিয়র খেলোয়াড়রা হাস্যোজ্জ্বল ও মারমুখি অবস্থান। অন্য বড় দলগুলো কিভাবে খেলছে তা থেকেও শিক্ষা নিতে পারছে না।
বাংলাদেম সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৪