এদিকে বাংলানিউজের ফেসবুক ফ্যান পেজেও আসছে হরেক রকম মন্তব্য। রাসেল রহমান নামে বাংলানিউজের এক ফেসবুক বন্ধুর প্রশ্ন সরকার বলছে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদুৎ উপাদন হচ্ছে।
রাসেলের প্রত্যাশা, সরকার প্রকাশ করুক ঠিক কি কারণে দাম বাড়ছে। এতদিন ঘাটতি ছিল তাও দাম বাড়লো না এখন উৎপাদন বেশি তাও হঠাৎ করে কি হল যে দাম বাড়ছে?
মাহবুবুর রহমান মাসুম নামে এক ফেসবুক বন্ধু মত দিয়েছেন সরকারের কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি ভালো হয়নি। তার মতে, অতীব প্রয়োজনীয় বা সাময়িক কারনে কুইক রেন্টাল থাকতে পারে কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে কুইক রেন্টাল বা তেলভিত্তিক উৎপাদিত বিদ্যুৎ বন্ধ করা দরকার। মত দিয়েই শেষ করেননি মাসুম। তার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ঘাটতি পোষাতে গিয়েই বাড়াতে হচ্ছে বিদ্যুতের দাম। আর এর খেসারত দিচ্ছে সাধারণ জনগণ।
সাবিনা নাহার লিখেছেন- দাম বাড়ছে এটা সাধারণ জনগণকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু সরকারকেও লোড শেডিং কমিয়ে আনতে হবে। আর সেটা যদি না হয়, বিদ্যুতের দাম বাড়ার এই সিদ্ধান্ত সহ্য করা যাবে না।
আর শফিকুল হক কামরুলের বক্তব্য বাঙ্গালী সব কিছুই সহ্য করে নত মুখে। তার মতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এই ঘটনায় এবারেও তেমন কিছুই হবে না। কিছু দিন পর সিএনজিরও দাম বাড়িয়ে দেওয়া হবে। আর এভাবেই চলতে থাকবে বাঙ্গালীর জীবন।
ফেসবুক বন্ধু শিমুল অনেকটাই হতাশ। তিনি লিখেছেন মন্তব্য করেই কোনো লাভ নেই। কারণ কেউ কারো কথা শোনে না। সরকার শুধু তাদের জন্যই সবকিছু করে। সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করে না।
সাঈদ তারিকের কড়া মন্তব্য সরকার কখনোই জনগণের কথা ভাবে না।
হতাশ বাংলানিউজের ফেসবুক বন্ধু আবুল কালামও। তিনি মনে করেন নাগরিকের মন্তব্যের কোনো দাম নেই। সরকারের সিদ্ধান্তে কিছুটা ক্ষিপ্ত এই পাঠক লিখেছেন- ‘তারা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেবে দাম বাড়ানো প্রয়োজন আছে। সরকারের প্রতি দুর্নীতি কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে কালাম লিখেছেন তা সম্ভব হলে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।
দাম বাড়ানো উচিত হয়নি বলে সরাসরি মন্তব্য অপর ফেসবুক বন্ধু জাহাঙ্গীর আলমের।
আর সাজিদ রাসেল সরকারকে এই পরমর্শ দিচ্ছেন যে, সরকার যেনো প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দেয়। এতে দেখা যাবে প্রায় সবাই চোর। আর এই চুরি বন্ধ হলে বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে।
ফেসবুক নাম টেনশন চৌধুরী। তিনি লিখেছেন- আমাদের মতামতের কোনো মূল্য সরকারের কাছে নেই। সরকারের প্রতি তার বক্তব্য- যত ইচ্ছা সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিন। আর এই পৃথিবীতে আপনারাই কেবল বেঁচে থাকুন। অন্যরা খেতে পারলো কি না? তাদের কি হলো তা দেখার প্রয়োজন নেই।
রাকিব আহমেদ নামে একজন ফেসবুক বন্ধু অবশ্য কথা বলেছেন অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক বিএনপিকে নিয়ে। তিনি বলেছেন- দেখবার চাই জনদরদী বিএনপি এবার কয়টা হরতাল দেয় আমাদের জন্য।
শোয়াইব-উল-ইসলাম অহন নামে আরেক ফেসবুক বন্ধু চরম হতাশার কথা বলেছেন। লিখেছেন- মন্তব্য করে কোনো লাভ নাই। কোনো সরকারই সাধারন জনগণের মতামত কে মূল্যায়ন করে না। আমরা সাধারন জনগণ সত্যিই অভাগা!
বাংলাদেশ সময় ১১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৪