ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৭ মে ২০২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

জানাচ্ছেন শামসুল আলম

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তার স্বার্থ বিবেচিত হয় না

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:২৯, মার্চ ১৯, ২০১৪
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তার স্বার্থ বিবেচিত হয় না ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টফোর.কম

ঢাকা: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভোক্তার স্বার্থ বিবেচিত হয় না বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্ট‍া অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

বুধবার বাংলানিউজের ‘কীভাবে দেখছেন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো’ শীর্ষক নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে পাঠকের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।



বনানী থেকে তানভীর সিদ্দিকী প্রশ্ন করেছেন ‘সরকারের গ্যাস বা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ব্যর্থতার দায় কুইক রেন্টালে ভর্তুকি দিয়ে বহন করছে সাধারণ নাগরিক। আবার নাগরিককেই এ বিদ্যু‍ৎ কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে। সরকারের এমন ব্যর্থতার দায়ভার সাধারণ নাগরিক কেন দুই দিক থেকে বহন করতে হবে?

তার প্রশ্নের জবাবে ড. শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মূল্যবৃদ্ধির এখতিয়ারও তাদের হাতে। বিদ্যুৎ খাতে ঘাটতি কমানোর কৌশল হিসেবে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বিইআরসি আইনে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভোক্তার স্বার্থরক্ষা ও অনিয়ম ঠেকিয়ে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হলেও সেসব মানা হয় না। ভোক্তার স্বার্থ সম্পর্কিত কোনো ক্ষেত্রেই সুষ্ঠু নিয়ম মানা হয় না। কর্তৃপক্ষ এই জায়গায় ব্যর্থ বলেই নাগরিকদের ওপর সব দায়ভার পড়ে। বিইআরসি আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নিষ্পত্তির ব্যাপারটি সামনে এলে পাঠকের এমন যৌক্তিক প্রশ্নের সমাধান হয়ে যেতো। এছাড়া, ভুলনীতি-দুর্নীতির ব্যাপারগুলোতো রয়েছেই।

গত ১৩ মার্চ বিদ্যুতের মূল্য গড়ে ৬.৯৬ শতাংশ বাড়িয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জানিয়েছে, এ মূল্যবৃদ্ধি ১ মার্চ থেকেই কার্যকর হবে। দাম বৃদ্ধির ফলে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের গড় খুচরা মূল্য ৫.৭৫ টাকা থেকে ৪০ পয়সা বেড়ে ৬.১৫ টাকা হবে।

তবে কৃষিসেচ ও ন্যূনতম ব্যবহারকারীদের দাম বাড়ানো হয়নি। ন্যূনতম ব্যবহার সীমা (লাইফ লাইন) ৭৫ ইউনিট থেকে কমিয়ে ৫০ ইউনিট করা হয়েছে। সকল কোম্পানির বিদ্যমান ন্যূনতম চার্জ, সার্ভিস চার্জ, ডিমান্ড চার্জ এবং বিলম্ব চার্জও অপরিবর্তিত থাকবে।

এর আগে ৩ দিনের টানা গণশুনানিতে ভোক্তা-গ্রাহকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো দাম না বাড়ানোর দাবি জানালেও মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় বিইআরসি। এমনকি সরকারের ইতিপূর্বেকার প্রতিশ্রুতি মেনে দাম কমানোরও প্রস্তাব উঠে আসে গণশুনানিতে। এক্ষেত্রেও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেওয়ার অনুরোধ আসে সাধারণ মানুষের মাঝ থেকে।

সরকারের নতুন মূল্যবৃদ্ধির তালিকা অনুসারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) গ্রাহকদের বিদ্যুতের মূল্য ৭.১৭ শতাংশ, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ৭.১৪ শতাংশ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ৭.৬৯ শতাংশ, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ৭.৩৪ শতাংশ এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) গ্রাহকদের বিদ্যুতের মূল্য ৫.৪১ শতাংশ বাড়ছে। ফলে গড় মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬.৯৬ শতাংশ।

 

** মিটার পর্যবেক্ষণ অন্যের হাতে থাক
** ক্রয়মূল্য, বিতরণ ব্যয় নিয়েই মূল্য নির্ধারণ হয়

 

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।