ঢাকা: বিদ্যুৎ খাত পরিচালনা সেনাবাহিনীর হাতে দেওয়ার দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামের আলকরণের এমরানুল ইসলাম মনে করেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে বিতরণ ব্যবস্থা পর্যন্ত তত্ত্বাবধান ও মনিটরিং করবে সেনাবাহিনী।
বুধবার বাংলানিউজের নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে এ দাবি জানান তিনি।
সেনাবাহিনীকে এ সেক্টর পরিচালনা করতে দেওয়ার পক্ষে এই বিদ্যুৎ গ্রাহক মনে করেন, এ খাতের বড় সমস্যা সিস্টেম লসের নামে বিদ্যুতের মহাচুরি। এ মহাচুরি বন্ধ হলে সমস্যার সমাধান হবে বহুলাংশে। সার্বিক বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়নে এবং বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় রোধকল্পে সরকারের এ মুহূর্তে করণীয়, একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সংসদীয় কমিটি গঠন করে সেনাবাহিনীর সার্বিক সহায়তায় দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার সার্বিক উন্নয়ন করা।
তিনি ই-মেইল বার্তায় বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে বিতরণ ব্যবস্থা পর্যন্ত তত্ত্বাবধান ও মনিটরিং করবে সেনাবাহিনী। স্থানীয় প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, বিদ্যুতের অপচয় রোধ, বকেয়া বিল আদায়, বিদ্যুতের মিটার টেম্পারিং রোধসহ নানা অনিয়ম রোধ করা। প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুতের ব্যবহারে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য নানা প্রচারণা চালানো।
দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য লোকদের সরিয়ে বা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে পুরো বিদ্যুৎ বিভাগের প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোরও দাবি জানান এমরানুল।
তিনি আরও মন্তব্য করেন, আমাদের এ গরিব দেশে সরকারের কাছ থেকে যেসব নাগরিক সুবিধাটুকু পাওয়া দরকার তা থেকে আমরা বহুলাংশে বঞ্চিত। তেল-গ্যাস- বিদ্যুৎ-পানি এগুলো নাগরিক জীবনের অতি প্রয়োজনীয় উপাদান এবং এগুলোর ব্যবহারে নাগরিকদের যেমন সচেতন ও মিতব্যায়ী হতে হবে, তেমনি সরকারের বড় দায়িত্ব হলো, এগুলোর সুষ্ঠু সরবরাহ ব্যবস্থা এবং সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করা।
এটা করা না গেলে বর্তমানে বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়ে নাগরিকদের ওপর যেমন অতিরিক্ত বোঝা চাপানো হয়েছে তেমনি মূল্য বাড়ানোর যে অজুহাত সরকার দেখিয়েছে তাও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে বলেও দাবি করেছেন এনামুল। ৭ শতাংশ নয়, ৫০ শতাংশ বাড়িয়েও সরকারের উদ্দেশ্য সফল হবে না।
তার অভিযোগ, অতীতে মূল্য বাড়ানোর ফলে সরকারের লাভ-ক্ষতির কোনো হিসাব আজও জনসন্মুখে প্রকাশ করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৩