ঢাকা: ভাড়ায় আনা বিদুৎ কেন্দ্র আমদানিতে কারা জড়িত, দাম কীভাবে নির্ধারণ করা হয় এবং এর দাম কমানো যেতো কিনা? পাঠকদের এসব মূল্যবান প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি স্পেশালিষ্ট সাংবাদিক রফিকুল বাসার।
তার মতে, ভাড়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র আনতে সরাসরি সরকার যুক্ত।
বিদ্যুত ও জ্বালানি স্পেশালিস্ট রফিকুল বাসার বলেন, যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র অল্প দিনের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়, সে বিদ্যুতের দাম বেশি। কারণ অল্প দিনে তার বিনিয়োগের বেশি টাকা তুলতে হয়। ভাড়ায় আনা কেন্দ্রও যদি প্রথমে তিন বছর না করে পাঁচ বছর করা হতো, তাহলে দাম কম হতো। এখন তিন বছর পর আবার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে, এই মেয়াদটা প্রথমেই বাড়ানো হলে খরচ অনেকটাই কমে যেতো, যা করা হয়নি।
মোট বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়টি এবং তার কাঁচামাল পাঠকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৯২টি। গ্যাস, কয়লা, তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। আছে জলবিদ্যুৎ ।
কতটা পেশাদার ও নিরপেক্ষ জনবল বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তাদের ওপর কারা নজরদারি করেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পেশাদার লোকই এটা নিয়ন্ত্রণ করেন, রয়েছে অনেক যোগ্য ব্যক্তি। অনেক ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি তার পুরো মেধা দিয়ে কাজ করতে পারেন না। এটা আমাদের একটি সামাজিক ব্যাধি। বরং যারা এগুলো পরিচালনা করেন তাদের ওপর যারা নজরদারি করেন তারাই অযোগ্য।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা কেমন?
বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সরকারের ভালো পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোনোটাই ঠিক মতো বাস্তবায়ন হয় নি। পরিকল্পনা কল্পনাতেই থেকে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৪
**কম খরচে স্থায়ী কেন্দ্র হচ্ছে না
**বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমানো জরুরি