ঢাকা: বিদ্যুতের দাম কমিয়ে আনতে সৌর, কয়লা ও পরমানবিক বিদ্যুতের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন চাকরিজীবী আতাউর রহমান।
বুধবার বাংলানিউজের ‘কিভাবে দেখছেন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো?’ শীর্ষক নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে এ কথা জানান তিনি।
আতাউর বলেন, কয়লা ভিত্তিক এবং পরমানুবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করতে পারলে ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দাম কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। সৌর বিদ্যুৎ বা বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা প্রসারিত হলে সিস্টেম লস অনেক কমে আসবে।
তার মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, সৌর বিদ্যুৎ অবশ্যই বিদ্যুতের দাম কমিয়ে আনার একটি পথ। তবে সৌর বিদ্যুতকে একমাত্র সমাধান ভাবার সুযোগ এখনও আসেনি। যেহেতু তেল থেকে যে এক চতুর্থাংশ বিদ্যুৎ বর্তমানে উৎপাদিত হচ্ছে তার চেয়ে সৌর বিদ্যুতের দাম কম, তাই সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে তাদের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়েছে।
বাংলাদেশ এখনো এদিকে তেমনভাবে নজর দিতে পারেনি। দেশের চাহিদার কত ভাগ সৌর বিদ্যুৎ থেকে পূরণ হতে পারে তা নির্ধারণ করে সৌর বিদ্যুতের বাণিজ্যিক দিক নিয়ে ভাবা দরকার। সৌর বিদ্যুতকে বাণিজ্যিক রূপ না দিয়ে এবং সহজলভ্য না করে এর উপর নির্ভর করলে বরং আরো বেশি বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে হবে বলে মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ।
কয়লা ভিত্তিক এ পরমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্র প্রসঙ্গে পাঠকে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রূপপুর পরমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। রাশিয়ার একটা দল মাত্র সমীক্ষা করার জন্য কিছু অর্থায়ন করেছে। এর এখনো অনেক বিষয় বাকি রয়েছে।
আর কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি থেকে শুরু করে, ফুয়েল, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয় জড়িত। তাই এটার সুফল পাওয়া জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৪
**বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তার স্বার্থ বিবেচিত হয় না
** মিটার পর্যবেক্ষণ অন্যের হাতে থাক
** ক্রয়মূল্য, বিতরণ ব্যয় নিয়েই মূল্য নির্ধারণ হয়