ঢাকা: বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো অসাধু ব্যবসা কবলিত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. এম শামসুল আলম।
বুধবার বাংলানিউজের ‘কীভাবে দেখছেন বিদ্যুতের দাম?’ শীর্ষক নাগরিক মন্তব্যে অংশ নেওয়া নাটোর শের-ই-বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আশরাফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আশরাফুল ইসলাম প্রশ্ন করেন-ডেসকো ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছিল। অন্যদিকে বাংলাদেশ রেগুলাটরি কমিশন (বিইআরসি) ২ দশমিক ০১ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখে। যেন ডেসকো ব্রেক ইভেন্টে থাকে। ডেসকোকে অতিরিক্ত মুনাফা দিতেই কি ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে?
এ প্রসঙ্গে ড. শামসুল আলম বলেন, ডেসকোকে ১২৩ কোটি টাকা মুনাফা মার্জিন দেওয়া হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ খাতের জন্য উন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষতিকর হয়েছে। বিইআরসি ২০০৩ আইন হওয়ার পর ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন পিজিসিবি মালিকানায় ও পরিচালনায় থাকার কথা। অথচ ডিপিডিসি ও ডেসকোর মালিকানায় এবং পরিচালনায় ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন রয়েছে।
তিনি বলেন, চাহিদা না থাকা স্বত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে এর উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের নামে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় দেখানো হচ্ছে। তাছাড়া জনবল ব্যয়ও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। যা ন্যায় সঙ্গত হয়নি, ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করাও প্রাধান্য পায়নি।
এক বছরের ব্যবধানে শতভাগ বিতরণ ব্যয় বেড়েছে উল্লেখ করে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, এই বৃদ্ধি মূল্যহার বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমন্বয় করায় বিদ্যুতের মূল্যহার বেড়েছে। পাশাপাশি মুনাফাও বেড়েছে।
ড. শামসুল আলম বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলোতে স্বচ্ছতা ও অসাধু ব্যবসা প্রতিরোধের বিষয়টি প্রাধান্য পেলে মুনাফা মার্জিন না দিয়ে ব্রেক ইভেনে (না লাভ না লোকসান) রাখার বিষয়টি গুরুত্ব পেত। কিন্তু তা হয়নি। বরং অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
যা দুর্ভাগ্যজনক এবং বিদ্যুৎ খাতের জন্য অশনি সংকেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৪
**তেলবিদ্যুৎ বাড়িয়ে চাহিদা কমানো অবাস্তব
**উদ্যোগের অভাব বিদ্যুত খাতে বড় সংকট
** সৌর বিদ্যুতের ওপর জোর দেওয়া দরকার
** বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তার স্বার্থ বিবেচিত হয় না
** মিটার পর্যবেক্ষণ অন্যের হাতে থাক
** ক্রয়মূল্য, বিতরণ ব্যয় নিয়েই মূল্য নির্ধারণ হয়