প্রশ্ন: শুধু বিদ্যুতের ইউনিটের ভিত্তিতে নয়, অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় অনেক বৈষম্য আছে মন্তব্য করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক স্পেশালিস্ট সাংবাদিক রফিকুল বাসার বলেছেন, গ্রামে ও শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহে এখনো বৈষম্য আছে। গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক গ্রাহকের বেলায় বৈষম্যটা বেশি।
বুধবার বাংলানিউজে ‘কিভাবে দেখছেন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো’ শীর্ষক নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে মাহী রহমান নামে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
ওই শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, বিদ্যুৎ খাতকে মালয়েশিয়ার মত মডেল রাষ্ট্রের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিৎ। এতে শহরে ও গ্রামে সরবরাহ বৈষম্য কমে আসবে। যে হারে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ হচ্ছে তাতে এ খাত উন্নতি লাভ করতে পারবে না।
এর প্রেক্ষিতে রফিকুল বাসার বলেন, একটি ট্রান্সফরমার বা বৈদ্যুতিক কোন সরঞ্জাম চুরি বা নষ্ট হয়ে গেলে গ্রামের গ্রাহকদের সম্মিলিতভাবে টাকা দিয়ে তা কিনতে হয়। কিন্তু শহরের গ্রহকদের কিনতে হয় না। শহরের গ্রাহকদের এসব সরবরাহ করে বিতরণ কোম্পানিগুলো।
তিনি বলেন, সেবা পাওয়া ক্ষেত্রেও অনেক বৈষম্য আছে। শুধু সেচ মৌসুম ছাড়া আগে শহরের চাহিদা মিটিয়ে পরে গ্রামে সরবরাহ করা হয়। এ কারণে গ্রামে লোডশেডিং অনেক বেশি থাকে।
তিনি আরো বলেন, গ্রামের মানুষ বিদ্যুৎ কিনতে টাকাও দেয় বেশি, আবার বিদ্যুৎ পায় কম।
** মূল্যবৃদ্ধি কখনও কখনও প্রাসঙ্গিক
** বিদ্যুত ও কৃষি একটি অন্যটির পরিপূরক
** সৌরবিদ্যুৎ বড় ভুমিকা রাখতে পারে না
** সঠিক ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুতের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব
** বিনিয়োগের টাকা দ্রুত তুলতেই দাম বাড়ানো
** কম খরচে স্থায়ী কেন্দ্র হচ্ছে না
** বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমানো জরুরি
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মার্চ: ১৯, ২০১৪