ঢাকা: ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) প্রস্তাব করেছিল, তাদের গ্রাহকদের বিদ্যুতের মূল্য ১৫.৯০ শতাংশ বাড়াতে। আর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) মূল্যায়ন কমিটি ২.০১ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল।
এ প্রশ্নের উত্তরে বিইআরসি’র সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, এ কথা সত্য যে, বিইআরসি’র টেকনিক্যাল কমিটি বলেছিল, ২.০১ শতাংশ বাড়ালে ডেসকো ব্রেক ইভেন্টে যায়। কিন্তু অন্য কোম্পানিগুলোর দাম যদি বেশি বাড়ে তাহলে বিদুতের দামের পার্থক্য সৃষ্টি হতো। গ্রাহকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হতো পারতো।
মূলত সে কারণেই সমানভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে। সবগুলো কোম্পানির একই দর নির্ধারণের চেষ্টা করা হয়েছে। এতে ডেসকো মুনাফা করবে বলেও মনে করেন সেলিম মাহমুদ।
বুধবার বাংলানিউজের ‘কিভাবে দেখছেন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো?’ শীর্ষক নাগরিক মন্তব্যে অংশ নেওয়া পাঠকরা প্রশ্নটি তোলেন।
প্রশ্নের উত্তরে ড. সেলিম মাহমুদ আরও বলেন, শিল্প, কৃষিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে একরকম দাম, আবার ডেসকো’র ক্ষেত্রে আলাদা দাম হলে গ্রাহকদের মধ্য দূরত্ব সৃষ্টি হবে। দুই কোম্পানির গ্রাহকের জন্য দুই রকম দাম নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। তাই কোথাও যেন অসম না হয় সেদিকে লক্ষ্য করেই দাম নির্ধারিত করতে হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। আইনে সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
সেলিম মাহমুদ বলেন, এখন সেচে আরইবি’র চেয়ে অন্যান্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর দাম কিছুটা কম রয়েছে। এখানে হাত দেওয়া হয়নি। ভবিষ্যতে সেচের দাম একই লাইনে আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৪
** দুর্নীতি কমলে দাম কমবে এ কথা আংশিক সত্য
** অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে বিইআরসি
** বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি বিইআরসি নিয়ন্ত্রণ করে