ঢাকা: বিদ্যুতের দাম বাড়বেই। আরও বাড়বে।
বুধবার বাংলানিউজের ‘কীভাবে দেখছেন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো’ শীর্ষক নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিটের সাংবাদিক রফিকুল বাসার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, দেশের মধ্যে সহজলভ্য ও কম মূল্যে যে জ্বালানি পাওয়া যায় তা ব্যবহার করা হয়নি। আমদানি করলে তার দাম সবসময় বাড়তি থাকবেই। আর আমাদের আমদানির ওপরেই নির্ভর করতে হবে, দেশের কয়লা ব্যবহার না করা পর্যন্ত। ফলে আমদানি করা জ্বালানির বিষয়টি খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে।
শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়া এখন জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদ্যুৎ জ্বালানির বিষয়টি শুধু আমাদের এই ভৌগলিক ভূখণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে ভাবলে চলবে না। কারণ আমাদের গ্যাস নেই। কয়লা আছে। আবার কয়লা উত্তোলনে জমির অপচয়। আমাদের জমিও কম। কাজেই বাস্তবতার ভিত্তিতে সামগ্রীক পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন রফিকুল বাসার।
এসময় তিনি বলেন, ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হয়েছে। এধরনের আরও কিছু উদ্যোগ আমাদের ভবিষ্যৎ ভালো করবে।
তিনি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর একটা সুফল এতোদিনে আমরা হয়তো পেতে যাচ্ছি। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কিছু টাকা দিয়ে একটি বাধ্যতামূলক তহবিল করে দিয়েছে। এই টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে। এতে আমাদের বিদেশি ঋণ নির্ভরতা কমবে। এটা আরও আগেই জরুরি ছিলো। তবে দেরিতে হরেও খুব ভালো উদ্যোগ এটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৪
**বিদ্যুতের দাম আরও বাড়বে
** মূল্যবৃদ্ধি কখনও কখনও প্রাসঙ্গিক
** বিদ্যুত ও কৃষি একটি অন্যটির পরিপূরক
** সৌরবিদ্যুৎ বড় ভুমিকা রাখতে পারে না
** সঠিক ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুতের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব
** বিনিয়োগের টাকা দ্রুত তুলতেই দাম বাড়ানো
** কম খরচে স্থায়ী কেন্দ্র হচ্ছে না
** বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমানো জরুরি