ঢাকা: বিষয়টি সত্যিই চমকে যাওয়ার মতো। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে নিউ ক্যালিডোনিয়ার কাকের মেধা মানুষের কাছাকাছি।
অস্ট্রেলিয়া থেকে সাড়ে সাত শ’ মাইল পূর্বে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নিউ ক্যালিডোনিয়ার আর্কিপিলাগোয় এদের আবাসস্থল।
নিউজিল্যান্ডের গবেষক সারা জেলবার্ট এবং তার সহকর্মীরা এ বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন।
তাদের গবেষণাপত্রে বলা হয় ‘তৃষ্ণার্ত কাকের সামনে একটি বোতলে কিছুটা পানি দেওয়া হলো। কাকটি যখন পানি পর্যন্ত পৌঁছুতে পারছিলো না তখন সে মুখে করে বোতলে গোলাকৃতি পাথর নিক্ষেপ শুরু করে এবং পানি বোতলের উপরের দিকে উঠে আসলে পান করে’ এই গল্পের মতোই একটি পরীক্ষা চালানো হলে কাকগুলো সে পরীক্ষায় সফল হয়।
এছাড়াও তাদের এমন কিছু সৃষ্টি রয়েছে যা মানুষকে অবাক করে দেয়। পেনডানাস পাতা দিয়েও এরা চার থেকে ছয় ইঞ্চি লম্বা এক ধরনের অস্ত্র তৈরি করে। পেনডানাস পাতার প্রান্ত করাতাকৃতি হওয়ায় পোকা-মাকড় টেনে বের করতে তারা এই অস্ত্র ব্যবহার করে। কেবল খাবার আহরণেই তারা অস্ত্র এবং উপকরণ ব্যবহার করে না, কোনো কিছু সন্দেহ হলে তা খতিয়ে দেখেতেও এই কাকেরা অস্ত্র ব্যবহারে পটু।
গবেষকেরা জানান, পরীক্ষা নেওয়ার সময় তাদের সামনে যখন একটি বাক্সে প্লাস্টিকের সাপ দেওয়া হলো তখন প্রথমে তারা একটি কাঠির খোঁচা দিয়ে দেখেছিল এটা আসলেই বিপদজনক কিনা!
অন্য দুই গবেষক ক্রিস্টোফার বার্ড এবং ন্যাথান এমেরি দেখিয়েছেন সেই পাথর ফেলে পানি পান করার বিষয়টি। খুব কম প্রাণীই উপকরণ ব্যবহারে এমন দক্ষ হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো প্রকৃতিকভাবেই কাকগুলো এমন।
সারা জেলবার্ট ও তার সহকর্মীরা ছয়টি কাককে বোতলে পাথর নিক্ষেপের প্রশিক্ষণ দেন এবং ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষার নেন এটা দেখার জন্য, তারা কতটুকু বুঝতে পারলো। ছয়টি পরীক্ষার মধ্যে চারটিতেই কাকগুলো খুব ভালো করে; কেননা প্রাকৃতিকভাবেই তারা খুবই মেধাবী।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৪