ঢাকা: সমুদ্রে যাওয়ার আগে হোটেলের ম্যানেজার পূর্ণীদের বলে দিয়েছিলেন, সোজা যাবেন। তবে ডান দিকে যাবেন না।
‘তবে আমরা আরো ডানে যেতে চাই। কারণ সেখানে সিনিয়র ভাইয়েরা ছিলেন। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল সেখানে যাওয়া যাবে না। ’
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলানিউজের নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে শোকার্ত আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পূর্ণী এভাবেই বলছিলেন বন্ধু হারানোর করুণ কাহিনী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পূর্ণী বলেন, ডান দিকে ছিল সাব্বির আর উদয় ভাইয়ারা। হঠাৎ করেই রাকেশ খেয়াল করে ডানে কিছু একটা ঘটছে, যেখানে সাব্বিরেরা ছিল।
বিষয়টি বুঝতে পেরে সে বলছিল, পূর্ণী ব্যাক করো।
আবেগাপ্লুত পূর্ণী বলেন, এ সময় পানির নিচে বালি সরে যাচ্ছিল। আমি সাঁতরে আসতে থাকি। আমার বেশ কষ্ট হচ্ছিল। কারণ ভাটায় টেনে নিয়ে যাচ্ছিল সমুদ্রের দিকে।
‘আমরা দূরে যেতে যেতে এক সময় খেয়াল করছিলাম, যে আমার আর রাকেশের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে’—বলতে থাকেন পূর্ণী।
তিনি বলেন, আসলে সমুদ্র প্রতিটি মানুষকে একা করে দেয়। নিজের মতো করে চলতে থাকে। কারও দিকেই তাকাতে চায় না!
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪