ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৬ মে ২০২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

রেইনফরেস্টে গাছের উপর বসবাস!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৫৫, আগস্ট ৩, ২০১৪
রেইনফরেস্টে গাছের উপর বসবাস!

ঢাকা: জেমস অ্যালড্রেড। নামটি পরিচিত নয়, পরিচিত হওয়ার কথাও নয়।

কারণ তিনি ক্যামেরার অন্তরালের মানুষ। বন্যপ্রাণি নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। কিন্তু এটা করতে গিয়ে তার আবাসস্থল হয়ে উঠেছে গাছের মগডাল। কারণ, রেইনফরেস্টে অনন্ত কেউ নিচে থাকার সাহস করবেন না।

কাজের প্রয়োজনে বসবাস শুরু করেছেন রেইনফরেস্টে। সেখানকার বন্যপ্রাণিদের অবিশ্বাস্য সব ফুটেজ সংগ্রহই তার উদ্দেশ্য। বিপদ ছাড়াও সেখানে রয়েছে ক্রুদ্ধ হাতি, ঈগল আর ওরাংওটাংয়ের দল।  

কিন্তু হঠাৎ রেইনফরেস্ট কেনো? বললেন, এটা অনেকটা জীবনে ডুব দেওয়ার মতো। এ এক আবেগীয় অভিজ্ঞতা। আপনার মনে হবে অন্য গ্রহে ভ্রমণ করছেন।

তার অভিজ্ঞাতা জানালেন এভাবে, আমি একটি গুলতি ব্যবহার করি। এটা ২০০ গ্রামের একটি থলে ১৬০ ফুট ছুড়তে পারবে। যখন এটি নিচে ফিরে আসবে তখন আপনার দড়ি জুড়ে নেবেন। এরপর পর্বতারোহণের কৌশল কাজে লাগিয়ে আপনি গাছে উঠতে পারবেন।  

এর আগে জেমস সেন্ট্রাল আমেরিকার ক্যানোপি ও কঙ্গোর বনে থেকেছেন। সেখানে ২০০ ফুট উঁচুতে একটি গাছের উপরে ছিলেন।

আরও জানান, কঙ্গোর বনে বনমানুষগুলো কাউকে দেখলে চট করেই পালিয়ে যায়। কিন্তু ক্যানোপি বনের অবস্থা ভিন্ন। তাদের সহজাত কৌতূহল অনেক সময় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। সুমাত্রায় একটি প্রাপ্তবয়স্ক ওরাংওটাং তার বাসার গিঁট খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

বড়সড় বিপদ বলতে একবার এক ক্রুদ্ধ ঈগলের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তিনি। ঈগলটি তার ধারালো নখ আর ঠোঁট দিয়ে তার ঘাড়ে ঠোকরাতে শুরু করেছিল। নেক গার্ড আর তার উপস্থিত বুদ্ধিতে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।

তার পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, এখন উৎসবের মৌসুম। আমি কেবলমাত্র গ্লাস্টনবারি (ইংল্যান্ডের পাঁচ দিনের একটি গানের উৎসব) শেষ করলাম। এরপর আরেকটি জঙ্গলে যাব।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।