ঢাকা, শুক্রবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৬ মে ২০২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ফিরে এলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জার্মান সেনারা!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:০৪, অক্টোবর ১১, ২০১৪
ফিরে এলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জার্মান সেনারা!

ঢাকা: পরনে এখনও বুট আর হেলমেট। হাতে ধরা যুদ্ধাস্ত্র।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রায় ৭০ বছর পর ফিরে এলেন জার্মান সেনারা!

চমকে গেলেন? ভাবছেন, এত যুগ পরে তারা আবার কিভাবে ফিরে এলেন! হ্যাঁ, তারা ফিরে এসেছেন, তবে মৃত।

সম্প্রতি একদল প্রত্নতাত্ত্বিক তাদের মাটির নিচে খুঁড়ে পেলেন। সেই মৃত্যুর আগের মুহূর্তের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে শুয়ে আছেন তারা। বলা ভালো, তাদের দেহাবশেষ। তবে বুট-হেলমেট আর হাতের অস্ত্রগুলো যথাস্থানেই আছে।
1_1
ইতিহাস বলছে, মাটির নিচে সমাধিস্থ এই সেনারা রাশিয়ান রেড আর্মির আক্রমণ থেকে বার্লিনকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত হন। ইতিহাসে এটি সিলো হেইটস যুদ্ধ নামে পরিচিত। ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে রেড আর্মি ও জার্মানদের মধ্যকার এ যুদ্ধ তিনদিন স্থায়ী হয়।    
2_2
জার্মানির ব্র্যান্ডেনবার্গের ক্লেসিন অঞ্চল খুঁড়ে প্রত্নতাত্ত্বিকরা তাদের উদ্ধার করেন।
3_3
অবশ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান সেনাদের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলবেন। শুধুমাত্র একজন হিটলারের উচ্চাভিলাষ মেটাতে প্রাণ দিয়েছেন হাজারো জার্মান সেনা। কিন্তু একদিক দিকে এটাও তো ঠিক, দেশের জন্যই যুদ্ধ করে প্রাণ দিয়েছেন তারা।
4_4
মাটিতে পোঁতা একটি কাঠের যিশু ক্রসের উপর জার্মান হ্যাট।   খুব আহামরি কিছু না হলেও, জার্মান সেনাদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানাতে এরকম একটি স্মৃতিস্মারক সমাধিস্থলে পাওয়া যায়।
5_5
ইতিহাসের পাতা ওল্টালে, প্রায় ১০ লাখ সৈন্য নিয়ে মার্শাল গেওর্গি ঝুকভ গেট অব বার্লিন আক্রমণ করেন। অপরপক্ষে জার্মান ‘নাইনথ আর্মি’র সেনা ছিল প্রায় এক লাখ ১০ হাজার। তিন দিনব্যাপী এ যুদ্ধে প্রায় পাঁচ হাজার থেকে প্রায় ৩৩ হাজার রাশিয়ান সেনা নিহত হন। অন্যদিকে জার্মানপক্ষে নিহত হন প্রায় ১২ হাজার। সেসময় অসংখ্য মৃত জার্মান সেনাকে যুদ্ধস্থলেই মাটির নিচে সমাধিস্থ করা হয়।     
6_6
‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য রিকভারি অব দ্য ফলেন’ নামে সংস্থাটির হয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবী প্রত্নতাত্ত্বিকরা নিহত সেনাদের উদ্ধারে কাজ করে থাকেন।
7_7
এ বিষয়ে তাদের ভাষ্য, আমরা ওই মৃত সেনাদের নামগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাদের নামগুলো হারিয়ে ফেলেছিলেন। আমরা আসলে কোনো জার্মান, রাশিয়ান বা মার্কিন সেনাকে খুঁজছি না। আমরা কারো ছেলে, ভাই বা বাবাকে খুঁজছি।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।